ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জিপিএ ও পাসে এগিয়ে মেয়েরা

জিপিএ ও পাসে এগিয়ে মেয়েরা

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার গড়ে ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। গতবার তা ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন পরীক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৩১২ জন। পাস করেছে ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ২১১ জন। পাসের হার ৯৪ দশমিক শূন্য ৮।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭২২ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ২২ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪ জন পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৩ জন। পাসের হার ৮৮ দশমিক ৪৯। তাছাড়া, বিদেশের ৯টি কেন্দ্রে ৪১৬ জন অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৩৯৮ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন। এর মধ্য উত্তীর্ণ হয়েছে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। পরীক্ষার্থীরা িি.িবফঁপধঃরড়হনড়ধৎফৎবংঁষঃং.মড়া.নফ এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল সংগ্রহ করেন। এছাড়া, অনেকই মোবাইল ফোনে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে তাদের ফল জানেন।

জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন : এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন পরীক্ষার্থী। এ পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গতবারের চেয়ে ১০.৭১ শতাংশ বেশি। বিভিন্ন বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হার ঢাকা : ৪৯ হাজার ৫৩০ জন, রাজশাহী : ২৭ হাজার ৯০৯ জন, যশোর : ১৬ হাজার ৪৬১ জন, কুমিল্লা : ১৪ হাজার ৬২৬ জন, চট্টগ্রাম : ১২ হাজার ৭৯১ জন, বরিশাল : ১০ হাজার ২১৯ জন, ময়মনসিংহ : ১০ হাজার ৫২ জন, সিলেট : ৪ হাজার ৮৩৪ জন, মাদ্রাসা : ১৪ হাজার ৩১৩ জন, কারিগরি : ৫ হাজার ১৮৭ জন।

পাসের হার ও জিপিএ-৫ এ এগিয়ে মেয়েরা : চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার এবং ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়ে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মেয়েদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫০ আর ছেলেদের পাসের হার ৯২ দশমিক ৬৯। অন্যদিকে মোট জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ১ লাখ ৩ হাজার ৫৭৮ জন এবং ছাত্র ৭৯ হাজার ৭৬২ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৪৯ হাজার ৫৩০ জন, রাজশাহী বোর্ডে ২৭ হাজার ৭০৯ জন, কুমিল্লায় ১৪ হাজার ৬২৬ জন, যশোর বোর্ডে ১৬ হাজার ৪৬১ জন, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ৭৯১ জন, বরিশালে ১০ হাজার ২১৯ জন, সিলেটে ৪ হাজার ৮৩৪ জন, দিনাজপুরে ১৭ হাজার ৫৭৮ জন, ময়মনসিংহে ১০ হাজার ৯২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে ১৪ হাজার ৩১৩ জন ও কারিগরিতে ৫ হাজার ১৮৭ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ পান।

৫৪৯৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই পাস : চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শতভাগ পাস করেছে পাঁচ হাজার ৪৯৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। গতবার এই স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল ৩ হাজার ২৩টি। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ২ হাজার ৪৭২টি বেড়েছে।

১৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল : চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশের ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন সব বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরীক্ষার ফলাফলের সার-সংক্ষেপ তুলে দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী এ ফল প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এসএসসি ও সমমানের ফল গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর শেষ হয়। মাত্র এক মাসের মধ্যেই এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলো। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন শ্রেণি পাঠদান না হওয়ায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। একজন শিক্ষার্থী নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। আবশ্যিক বিষয়ে এ বছর পরীক্ষা হয়নি। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৮ জন এবং ছাত্রী ১২ লাখ ৭ হাজার ৬৬ জন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত