নিষিদ্ধ জালে চলছে মাছ শিকার

প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার পাথরঘাটার বলেশ্বর, বিষখালী, বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও তার তীরবর্তী চরগুলোতে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে কিছু অসাধু জেলে। এতে প্রতিদিন ধ্বংস হচ্ছে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ সামুদ্রিক মাছের রেণু। ফলে দিন দিন নদী ও সাগরে মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। শিগগির ব্যবস্থা না নেওয়া হলে হারিয়ে যাবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। সরেজমিন দেখা যায়, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা চরের বিরাট অংশজুড়ে খুঁটি পুঁতে গড়া জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া হরিণঘাটা-লালদিয়া বনের কোল ঘেঁষে চরাঞ্চল, বলেশ্বর তীরবর্তী পদ্মা, রুহিতা, ছোট টেংরা ও চরদুয়ানী এলাকায় জেলেরা ছোট ফাঁসের নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল, গড়া জাল, বাঁধা জাল, ঘোপ জাল দিয়ে ছোট মাছ ধরছেন। এসব জালের ফাঁস আধা ইঞ্চি থেকে পৌনে এক ইঞ্চি। কয়েকশ’ মিটার দৈর্ঘ্যরে একেকটি ঘোপ জাল জোয়ারের সময় পাতা হয়, ভাটায় পানি নেমে গেলে জালে আটকা পড়ে ছোট-বড় মাছের পাশাপাশি অসংখ্য রেণু। ঘোপ বা চরগড়া তৈরিতে শতাধিক গেওয়া ও কেওড়া গাছের খুঁটি ব্যবহার করা হয়। এসব গাছের সিংহভাগই প্রাকৃতিক বন হরিণঘাটা, লালদিয়া ও চরলাঠিমারা সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কেটে আনা হয়। কম বয়সি লাঠি আকৃতির গাছ খুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নতুন জন্ম নেওয়া গাছ কাটার ফলে সংরক্ষিত বনও উজাড় হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এক শ্রেণির দাদন ব্যবসায়ী জেলেদের বলেশ্বর, বিষখালী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও তার তীরবর্তী চরগুলোতে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করাচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জেলে জানান, তারা বন বিভাগের সঙ্গে যোগসাজশেই জাল পাতেন।