সবজি চাষে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার মানবদেহের জন্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে দিন দিন। এতে উৎপাদন ব্যয় বাড়ায় উৎপাদিত শাকসবজি ভোক্তার ক্রয়ের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে জামালপুরে মেলান্দহ উপজেলায় ১০০ একর জমিতে উৎপাদন হচ্ছে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) প্রকল্পের আওতায় আবাদ হচ্ছে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি। শ্যামপুর ইউনিয়নে ১০০ একর জমিতে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে অন্তত ৫০০ কৃষক সবজি চাষ করেছে। এতে বিষমুক্ত সবজি চাষের সফলতায় খুশি কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১০০ একর জমিতে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষ হয়েছে। করলা, শসা, ধুন্দল, ঝিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরনের সবিজ চাষ করা হচ্ছে। পোকা দমনের জন্য ফেরোমেন ফাঁদ, হলুদ আঠালো ফাঁদ, নীল আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করা হয়। কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার না করে জৈবসার ব্যবহার করা হয়েছে। চাষি দিদারুল আলম বলেন, গত ২ বছর ধরে সবজির চাষাবাদ করছি। এ বছরে সম্পূর্ণ জৈবসার ব্যবহার করেছি। জৈবসার ব্যবহার করায় আমাদের খরচ অনেকটাই কমেছে। লাভ অনেক বেশি হয়েছে। সাড়ে চার বিঘার জমিতে সবজির চাষ করছি। কৃষি অফিসের পরামর্শে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছি। শ্যামপুর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছরের সবজি চাষে আমার ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি।