ঢাকা ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাজিরায় সবজি রপ্তানিতে নতুন হাওয়া

জাজিরায় সবজি রপ্তানিতে নতুন হাওয়া

শরীয়তপুর জেলার কৃষি রাজধানী খ্যাত জাজিরা উপজেলার উৎপাদিত সবজি রপ্তানির মধ্য দিয়ে এখানকার কৃষি অর্থনীতিতে লেগেছে নতুন হাওয়া। এ বছরের জানুয়ারির ৩ তারিখে সুইজারল্যান্ডে ২০০ কেজি সবজি রপ্তানি দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও তা এখন বিস্তৃত হয়েছে ইটালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। গত এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এখন ৬ টনে। এরই মধ্যে জাজিরার কৃষকরা ২০ হাজার ইউরো মূল্যের সবজি রপ্তানি করেছেন।

কৃষির এ অগ্রযাত্রা জাজিরার কৃষকরা দেখছেন সোনালি দিনের স্বপ্ন। কৃষকরাও রপ্তানিকারকদের চাহিদা অনুযায়ী কৃষি বিভাগের উত্তম কৃষি চর্চা পদ্ধতি অবলম্বন করে ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছেন নিরাপদ সবজি আবাদ। ১০ একর জমির সবজি দিয়ে রপ্তানির যাত্রা শুরু হলেও এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে ২০০ একরে দাঁড়িয়েছে। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের যৌথ প্রয়াসে শুরু হওয়া জাজিরার সবজি রপ্তানি প্রক্রিয়া শরীয়তপুরের কৃষি অর্থনীতিকে অনেকদূর এগিয়ে নেবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জামাল হোসেন বলেন, শরীয়তপুরের ৬ উপজেলার মধ্যে জাজিরা উপজেলার কৃষিজমি পলিযুক্ত হওয়ায় এখানে উৎকৃষ্ট সবজিসহ সব ধরনের কৃষি ফসলের তুলনামূলকভাবে ফলন বেশি হয়। এ কারণে জাজিরাকে অনেকেই শরীয়তপুরের কৃষি রাজধানী বলেও আখ্যায়িত করে থাকেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে থেকেই জাজিরার কৃষক ও কৃষি বিভাগ বিশেষ করে সবজিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকে। জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারীকান্দি গ্রামের কৃষক বেলায়েত হোসেন বলেন, এ বছর জানুয়ারির ৩ তারিখে আমি ২০টি লাউ রপ্তানির মধ্য দিয়ে আমার যাত্রা শুরু। তখন ১০ শতক জমিতে লাউ আবাদ করেছিলাম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত