ঢাকা ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মেহেরপুরের হিমসাগর রপ্তানির সম্ভাবনা

মেহেরপুরের হিমসাগর রপ্তানির সম্ভাবনা

সুস্বাদু আর রসে ভরপুর আমের কথা উঠলেই চলে আসে মেহেরপুরের হিমসাগর আমের কথা। জেলায় কয়েক জাতের আম চাষ হয়ে থাকে। তার মধ্যে হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, বিশ্বনাথ ও ফজলি আম জেলার সুখ্যাতি বয়ে নিয়ে এসেছে। মেহেরপুরের আম এবার বিদেশেও রপ্তানি করা হবে। বাগান মালিকরা বলছেন, সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ও কোনো ধরনের কেমিক্যাল ছাড়াই উৎপাদিত হিমসাগরসহ সব আম দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, আমের মুকুল আসা থেকে শুরু করে আম বাজারজাত করা পর্যন্ত সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বাগান মালিকদের। জানা গেছে, মেহেরপুরে চলতি বছরে ২ হাজার ৩৪০ হেক্টর আম বাগানে প্রায় ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে হিমসাগর আমের বাগান রয়েছে ৭০০ হেক্টর জমিতে। চলতি সময়ে ৪০ মেট্রিক টন হিমসাগর আম রপ্তানি করার সম্ভাবনা রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে। দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আম সংগ্রহ এবং বাজারজাত করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আম চাষিরা।

আম বাগানের মালিক মুজিবনগরের শেরখান ও গাংনীর আব্দুর রহিম বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হিমসাগর আমের কাঙ্ক্ষিত ফলন হয়েছে। বিশেষ করে মেহেরপুরের হিমসাগর আমের চাহিদা অন্যান্য আমের চেয়ে অনেক বেশি। আমাদের জেলায় তেমন ঝড়-ঝাপটা না হওয়ায় প্রতিটি আম গাছ আমে নুইয়ে পড়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। আমরা একেবারেই কেমিক্যাল ও কীটনাশকমুক্ত আম উৎপাদন করেছি, যা আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হবে। তবে বিদেশেও বিক্রির জন্য উন্মুক্ত বাজার তৈরি করতে পারলে কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত