ঢাকা ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শত বছরের ঐতিহ্য রডবিহীন পাগলা বড় জামে মসজিদ

শত বছরের ঐতিহ্য রডবিহীন পাগলা বড় জামে মসজিদ

শত বছরের ঐতিহ্য সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলার রায়পুর গ্রামের পাগলা বড় জামে মসজিদ। দোতলা এ মসজিদের বৈশিষ্ট্য হলো, এতে কোনো রড ব্যবহার করা হয়নি। সম্পূর্ণ ইটের ওপর নির্মিত স্থাপনাটি। দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি যে কারোর নজর কাড়বে। ১৩৩১ বঙ্গাব্দের ৫ আশ্বিন মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড় মসজিদের নির্মাণকাজে মূল কারিগররা ছিলেন ভারতীয়। মসজিদটি নির্মাণ করতে প্রায় ১০ বছর সময় লাগে। মূল স্থপতির নাম মুমিন আস্তাগার। তার পূর্বপুরুষ ভারতের তাজমহলে কাজ করেছেন।

মসজিদটির মোট উচ্চতা ৪০ ফুট। ছয়টি স্তম্ভের ওপর ছয়টি মিনার। তিনটি বিশাল গম্বুজ এবং ছোট সাইজের আরও ১২টি মিনার রয়েছে। ভূমিকম্পনিরোধক ব্যবস্থা হিসেবে ভূমি খনন করে বেশ মজবুত পাতের ওপর ভিত নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে অনেকগুলো বড় মাপের ভূমিকম্পও এখন পর্যন্ত মসজিদটিতে ফাটল ধরাতে পারেনি। মসজিদ নির্মাণের পর বড় ধরনের কোনো সংস্কারেরও প্রয়োজন পড়েনি। মসজিদে নামাজের জন্য নির্ধারিত মূল স্থান দোতলায়। মসজিদের ভেতরকার দৃশ্য আরও বেশি নান্দনিক। মেহরাব অংশে জমকালো পাথর কেটে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইন।

পুরো মসজিদের চারপাশে তিন ফুট উচ্চতার টাইলসগুলো আনা হয়েছিল ইটালি ও ইংল্যান্ড থেকে। মসজিদের উদ্যোক্তা ইয়াসিন মির্জা ও ইউসুফ মির্জার প্রপৌত্র লালন মির্জা ও শ্যামল মির্জা জানান, ‘মসজিদটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতীক। আমরা চাই এটি সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় নেওয়া হোক।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত