ঢাকা ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গারো পাহাড়ের আতঙ্ক বন্য হাতি

গারো পাহাড়ের আতঙ্ক বন্য হাতি

গারো পাহাড়ে আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে উঠেছে বন্য হাতি। দিনের পর দিন নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে গারো পাহাড়ের মানুষকে। হাতির তাণ্ডবে সীমান্ত এলাকায় একের পর এক ঝরছে প্রাণ। ময়মনসিংহ বিভাগের আওতায় ভারত সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের তিনটি এবং ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া মিলে গারো পাহাড় অধ্যুষিত পাঁচ উপজেলায় গত এক মাসে বন্য হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬ কৃষকের। মানুষের প্রতিরোধে বন্য হাতি মারা গেছে একটি। আর বন্য হাতি হত্যার অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে মামলাও।

মানুষ-হাতির অব্যাহত এ দ্বন্দ্বে এভাবে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে, লম্বা হচ্ছে ঘরবাড়ি বিনষ্টসহ ফসলহানির তালিকা। আবার বন্য হাতি হত্যার মামলায় জড়িয়েও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। আরেক দিকে সরকারের বন বিভাগসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে হাতির আক্রমণ দমনে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হলেও সব কর্মসূচি ও উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে। বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র মতে, ২০০২ সাল থেকে বন্য হাতির উপদ্রব বেড়ে যায় শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলার পাহাড়ি গ্রামগুলোতে। ফসল, ঘরবাড়ি, গাছপালা ও গবাদি পশুসহ নানা ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বাড়তে থাকে মৃত্যুর মিছিল। নারী থেকে শিশু কেউ বাদ পড়েনি এ মৃত্যুর মিছিল থেকে।

গত প্রায় দুই যুগে শেরপুর সীমান্তে বন্য হাতির আক্রমণে নিহতের সংখ্যা ৭০-এর ওপরে। আহতের সংখ্যা কয়েকশ’। তবে গত এক মাসে বন্য হাতির তাণ্ডব ও বন্য হাতি দ্বারা কৃষক মৃত্যুর মিছিল আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত