বাজারে দিনাজপুরের ‘অপরিপক্ব’ লিচু
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি
টানা তাপপ্রবাহের কারণে ফলনে বিপর্যয় ঢেকাতে ‘অপরিপক্ব’ অবস্থায় লিচু বাজারজাত শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। বেশি দামের আশায় পাকার আগেই লিচু বাজারে এনেছেন বিক্রেতারা। অপরিপক্ব লিচুতে স্বাদ নেই, বরং টক। এ লিচু স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, কোনোভাবেই এ লিচু শিশুদের হাতে দেওয়া যাবে না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মে মাসের ২৫ তারিখের পর বাজারে আসবে মাদ্রাজি লিচু। জুন মাসের ১৫ তারিখের পর বাজারে আসবে বেদানা জাতের লিচু, ২৫ জুনের পর বোম্বে এবং এর পরের সপ্তাহে চায়না থ্রি লিচু বাজারে আসবে। সবশেষে বাজারে আসবে কাঁঠালি ও মোজাফফর লিচু। গত সপ্তাহ থেকেই দিনাজপুরের বাজারে উঠেছে লিচু। জেলার কালিতলা, বাহাদুরবাজার ও হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় লিচু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। মাদ্রাজি জাত বলে ১০০ পিস লিচু ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। এসব লিচুর স্বাদ যারা নিয়েছেন কিংবা খেয়েছেন তারা বলছেন, এখনো টক, মিষ্টি হয়নি। আঁটি ভরপুর হয়নি। তবু নতুন ফল হিসেবে অনেকে কিনছেন। হকার্স মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, সবুজ ও লালচে লিচু নিয়ে বসেছেন কয়েকজন ফল বিক্রেতা। দিনাজপুরের লিচু মিষ্টতায় ভরপুর, দাম মাত্র ২৫০ টাকা। এভাবেই ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তারা। লিচু বিক্রেতা রহিম উদ্দিন বলেন, এবার এক সপ্তাহ আগে লিচু পেকেছে, বৃষ্টি নেই, প্রচণ্ড রোদ। এই তাপে লিচু পেকেছে। ১০০ লিচু ২২০-২৫০ টাকা বিক্রি করছি। তিন ঝুড়ি ঢাকায় পাঠিয়েছি। সেখান থেকে বিক্রি হবে। এছাড়া অনেকে লিচু কিনে ঢাকা, সিলেট, রংপুর ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। ক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, নতুন ফল বাজারে উঠেছে, তাই ৫০টি কিনলাম ১২৫ টাকায়। খেয়ে দেখেছি, টক। টক হলেও সমস্যা নেই, ভিটামিন সি। পরিবারের সবাই খাবে, খুশি হবে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অপরিপক্ব কি-না তা আমার জানা নেই। দাম একটু বেশি, তবু নতুন ফল দেখে কিনলাম। জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম বোরহান-উল-ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, অপরিপক্ব লিচু স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।