মই বেয়ে সেতু পার

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

সেতু নির্মাণের দেড় বছর পরও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কুড়িগ্রামের চর বড়লই গ্রামের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। শুকনো মৌসুমে সেতুর পাশে জমি দিয়ে চলাচল করলেও বন্যায় যাতায়াত নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালে বন্যায় ফুলবাড়ীর ওয়াপদা বাঁধের চর বড়লই গ্রামের সেতুটি ভেঙে যায়। পরে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ৭০ লাখ ৫২ হাজার ৪২১ টাকা বরাদ্দ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিটন ট্রেডার্স। চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দেড় বছরেও কাজ শেষ করতে পারেনি ওই প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বাইপাস সড়কের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন দুর্ভোগ নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ। ও

ই গ্রামের বাসিন্দা মো. জয়নাল মিয়া বলেন, এখানে আগে একটা সেতু ছিল। ২০১৭ সালের বন্যায় সেটি ভেঙে গেছে। দীর্ঘ ৬ বছর পর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শুনেছি ৬ মাসের মধ্যে সেতু দিয়ে আমরা চলাচল করতে পারব। অথচ দেড় বছর হলো সেতুর কাজ শেষ হচ্ছে না। বন্যার আগে সেতুর দু’পাশের মাটি ভরাট না করলে আমরা আবারও ভোগান্তিতে পড়ব। দক্ষিণ বড়লই গ্রামের ধান ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন বলেন, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬ হাজার মানুষ চলাচল করে। কৃষি মৌসুমে বিভিন্ন ফসল কিনে শহরে যেতে হয়। এ সেতুটির কাজ শেষ না হওয়ায় মালামাল নিয়ে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সেতুর কাজ প্রায় শেষ। শুধু দুই পাশের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট করা বাকি রয়েছে। আশা করছি, এক-দেড় মাসের মধ্যে মানুষ চলাচল করতে পারবে। এ বিষয়ে বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, ২০১৭ সালে সেতুটি ভেঙে যায়। দীর্ঘদিন পর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে কাজ শুরু হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার দেড় বছর হলেও সেতুটির কাজ শেষ হচ্ছে না। এতে ভোগান্তির মুখে আছে এখানকার মানুষজন। ফুলবাড়ী উপজেলা ত্রাণ পুনর্বাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, চর বড়লই গ্রামের ওই সেতুর মূল কাজ শেষ হয়েছে। শুধু সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের কাজ বাকি রয়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।