অবাধে চলছে কৃষি জমির মাটি বিক্রি

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

অননুমোদিত লেকভিউ প্রকল্পের নাম ভাঙিয়ে দেদারসে চলছে মাটি বিক্রির ব্যবসা। অবৈধ ড্রেজারে মাটি উত্তোলন আর বিক্রির ফলে তিন ফসলি জমি নষ্ট হওয়াসহ বর্ষা মৌসুমে দেখা দিয়েছে এলাকায় ভাঙনের শঙ্কা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রভাবশালী নেতাকর্মীর একাত্ম হয়ে পরিচালিত ওই মাটির ব্যবসায় জিম্মি হয়ে পড়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

এর পরও মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতিবাদকারীদের মারধরসহ হুমকি-ধমকির নানা অভিযোগ। প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ না থাকায় এলাকায় মাটি কাটার নৈরাজ্য চালাচ্ছেন ওই মাটি ব্যবসায়ীরা। প্রাণ হারানোর শঙ্কায় জমি হারিয়েও নীরব গ্রামের সাধারণ মানুষ। তবে বিভিন্ন দামে জমিগুলো কিনে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বাদল এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন ফসলি জমির মাটি কাটার ওই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দেখা গেছে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের সায়ের ও নাকাছিম এলাকায়। বাদল এন্টারপ্রাইজের নামে লেকভিউ প্রকল্প আর মাটি উত্তোলনের কাজটি পরিচালিত হচ্ছে। কাজের অংশীদার বাদল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও বাসাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের ভাই কাজী বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা খান বাহাদুর ও উপজেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি জহির আহমেদ পিন্টু। ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব পালনে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নানা পর্যায়ের নেতাকর্মী এ কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন বলেও স্থানীয়দের মাঝে গুঞ্জন রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি ওই লেকভিউ নামক প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেছে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের)।

অভিযোগে জানা গেছে, তথাকথিত লেকভিউর নামে কাশিল ইউনিয়নের নাকাছিম ও সায়ের মৌজার শতাধিক একর তিন ফসলি জমির মাটি ২০-৩০ ফুট গভীর করে কেটে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। দিনরাত মিলিয়ে চলছে প্রায় পাঁচ শতাধিক ড্রাম ট্রাক। মাটিবাহী ২৫-৩০ টনের ওই ড্রাম ট্রাকের চাকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। পাল্লা দিয়ে গাড়ি চলাচলের ফলে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে গ্রামগুলো।