বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রকেই এখনও জীবিকার প্রধান পেশা হিসেবে আঁকড়ে ধরে আছেন জয়পুরহাটের বিভিন্ন উপজেলার মাহালি পরিবারের কিছু মানুষ। বাঁশ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন শিল্প বাপ-দাদার পেশা হওয়ার কারণে অনেকেই অন্য পেশায় যেতে পারছেন না। অন্য কোনো কাজ না জানার কারণে বাধ্য হয়েই বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র আঁকড়ে ধরে আজও জীবিকা নির্বাহ করার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এদিকে প্লাস্টিকের ভিড়ে বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও চাহিদা কমে যাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন কাটাচ্ছেন তারা। বর্তমানে এ ব্যবসায় মন্দাভাব থাকায় বাঁশ শিল্পের সঙ্গে জড়িত এই পরিবারগুলোর চলছে দুর্দিন।
জয়পুরহাটের বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে শত শত মাহালি পরিবার এক সময় বাঁশের মাদুর, ঘর, ঝুড়ি, ফাঁদ, মাছ ধরার চাঁই, জুইতা, বাঁশের দোচালা, চারচালা ও আটচালা ঘর, বাঁশের বেড়া, ফুলদানি, প্রসাধনী বাক্স, ছবির ফ্রেম, আয়নার ফ্রেম, কলম কাল্লোং, বারেং, দোলনা, কুলা, ঝুড়ি, টোপা, মাথল, ডালি, চাঙ্গারি, খলইসহ অনেক কিছু তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমান সময়ে বাঁশের দাম বেশি; অন্যদিকে চাহিদা ও পণ্যের দাম কম থাকায় তারা পড়েছেন চরম বিপাকে।