ঢাকা ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হাঁস পালনে স্বাবলম্বী সীমান্তবাসী

হাঁস পালনে স্বাবলম্বী সীমান্তবাসী

একটা সময় অভাব-অনটনের সংসারে খেয়ে না খেয়ে দিন চলত সীমান্তঘেঁষা গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের। তবে গত কয়েক বছর হাঁস পালনে তারা পেয়েছেন সচ্ছলতা। কেউ কেউ গড়েছেন একাধিক খামার। এসব খামারে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অনেক বেকারের। তবে সরকারি চিকিৎসক না পাওয়ার অভিযোগ খামারিদের। এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, ওইসব অঞ্চলে চিকিৎসাসেবা জোরদার করা হবে।

সরেজমিন শেরপুর জেলার সীমান্তের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলা ঘুরে জানা যায়, এসব এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দেড়শ’ হাঁসের খামার রয়েছে। এসব খামারে তিন লাখের বেশি হাঁস পালন করা হচ্ছে। হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শেরপুরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। নিজেরা যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছেন, তেমনি আশপাশের মানুষদের দিচ্ছেন পরামর্শ। অনেকের হয়েছে কর্মসংস্থানও। তাই দিন দিন এলাকাবাসীর হাঁস পালনে আগ্রহ বাড়ছে।

শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী বাবলাকোনা ও হারিয়াকোনা গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে নেমে আসা ঢেউফা নদীতে হাঁসের মিছিল। আর নদীর আশপাশের বাড়িতে খামার। খামারে দুই ধরনের হাঁস পালন করা হয়। ডিম দেয় এমন একটি জাত, আরেকটি মাংসের জন্য। এসব ডিম ও হাঁস রাজধানীতে বিক্রি করা হয়। সেখানকার পাইকাররা এ গ্রামে গাড়ি নিয়ে এসে হাঁস ও ডিম নিয়ে যায়। শুক্কুর আলী (৫০)। ছোটখাটো ব্যবসা করলেও ছিল না সচ্ছলতা। পরে তিনি নিজ উদ্যোগে দেন হাঁসের খামার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এ এলাকার সবচেয়ে বেশি হাঁস পালন করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত