ঢাকা ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পরিশ্রমের মূল্য পাচ্ছেন না নারী চা শ্রমিকরা

পরিশ্রমের মূল্য পাচ্ছেন না নারী চা শ্রমিকরা

চায়ের ভরা মৌসুমে পারিশ্রমিক মোটামুটি পেলেও বছরের একটি বড় সময় নারী চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি দেয়া হয় ১৫০ টাকা। এখান থেকেও একটা অংশ যায় কর্তাদের সন্তুষ্ট করতে। এছাড়া বিভিন্ন সময় শ্রমিক সর্দারকে খুশি করতে দিতে হয় উৎকোচ। অন্যথায় কাজ থেকে দেয়া হয় অব্যাহতি। এভাবেই বছরের পর বছর পার করছেন পঞ্চগড়ের এমএমটি এস্টেটের নারী চা শ্রমিকরা। পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের পাহাড়বাড়ি এলাকার চা বাগানে কাজ করেন শতাধিক নারী শ্রমিক। তবে এই শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেই কারও। এই শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করেন মো. হানিফা নামের এক ব্যক্তি। শ্রমিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, হয়রানি করাসহ বিস্তর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

শ্রমিকদের অভিযোগ, সর্দার হানিফার কথামতো না চললেই কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পুনরায় কাজে আসতে চাইলে দিতে হয় উৎকোচ। তার বিরুদ্ধে ম্যানেজার বরাবর অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। বরং নানান সমস্যার সম্মুখীন হন অভিযোগকারী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারী শ্রমিকরা বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির সময়ে ১৫০ টাকা মজুরিতে কাজ করতে হয়। সারাদিন কাজ করে ১ কেজি সয়াবিন তেল কেনার সামর্থ্য হয় না। আবার এখান থেকে সপ্তাহে ১০০ টাকা করে দিতে হতো তাকে। কিছুদিন থেকে দেই না, এজন্য আমাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন তিনি। অশালীন বাক্যে গালিগালাজও করেন। ম্যানেজারকে জানালে তিনি উল্টো আমাদেরকেই চুপচাপ থাকতে বলেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মো. হানিফা বলেন, আমিও সেখানে কাজ করি, শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিতে যাব কেন? অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। এমএমটি এস্টেটের ব্যবস্থাপক সোহেল রানা বলেন, শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণের বিষয়টি জানা নেই। কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। আর মজুরি ১৫০ টাকা দেয়া হয়, যখন চা বাগানে পাতা থাকে না তখন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত