ঢাকা ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চলাচলে ভরসা ভাঙা সাঁকো দুর্ভোগে ৫ গ্রামের মানুষ

চলাচলে ভরসা ভাঙা সাঁকো দুর্ভোগে ৫ গ্রামের মানুষ

কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের সংযোগস্থলে জারুলিয়াছড়ি ছড়ার ওপর একটি সেতুর অভাবে ৫ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দীর্ঘদিনের দাবি সত্ত্বেও সেতু না হওয়ায় এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সাঁকোতে চলাচল করছেন।

জানা গেছে, জারুলিয়াছড়ি ছড়ার ওপর ২০০৮ সালে চলাচলের জন্য একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণকাজে অনিয়মের কারণে ২০১২ সালে সেতুটি ধসে পড়ে। পরে গ্রামবাসী নিজেদের উদ্যোগে একটি কাঠের সাঁকো বানিয়ে চলাচল করে আসছে। কয়েক বছর পর সেই সাঁকোটিও ভেঙ্গে যায়। এর ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ৫ গ্রামের মানুষ। বর্ষা মৌসুমে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ভাঙ্গা সাঁকো পার হতে গিয়ে ঘটেছে হতাহতের ঘটনাও। শুধু সাঁকো নয়, জারুলিয়াছড়ি ছড়ার দুই প্রাান্তের সড়ক ব্যবস্থাও নাজুক। কাঁচা সড়ক দিয়ে এখানকার বাসিন্দাদের যুগযুগ ধরে চলাচল করে আসছেন।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ডাকভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, সড়কটি শত বছরের পুরোনো। অথচ নেই বিন্দুমাত্র উন্নয়নের ছোঁয়া। এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মইশকুম, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শিবাতলী, ডাকভাঙ্গা, ফকিন্নিরচর, শহর আলীর চর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এর মধ্যে শতশত শিক্ষার্থী ডাকভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়, মইশকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াত করে। একটি সেতুর অভাবে শিক্ষার্থীরা চলাচলে প্রতিনিয়িত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম এলেই এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

শিবাতলী গ্রামের মো. কালু, আলী হোসেন, মোজাফ্ফর আহমদ, আবদুর রশিদ জানান, বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গা সাঁকো পার হতে গিয়ে পানিতে পড়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। কয়েক বছর আগের সাঁকোটি ভেঙ্গে গেছে। এখানে একটি সেতু ও চলাচলের সড়ক সংস্কারের স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দপ্তর, জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার আবেদন জানিয়ে এলেও কোনো সুরাহা হয়নি। কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম জানান, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মইশকুম গ্রামে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জারুলিয়াছড়ি ছড়ার ওপর নির্মিত সেতুটি ১১ বছর আগে ভেঙ্গে যায়। পরে গ্রামবাসীর তৈরি কাঠের সাঁকোটিও ভেঙ্গে গেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত