মৎস্য ভান্ডারের জৌলুস হারাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদ

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রাঙামাটি প্রতিনিধি

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মৎস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত কাপ্তাই হ্রদ। রাঙ্গামাটির আট ও খাগড়াছড়ির দুই উপজেলা মিলে বিস্তীর্ণ ৭২৫ বর্গকিলোমিটারের কাপ্তাই হ্রদ। ষাটের দশকে প্রমত্তা কর্ণফুলী নদীতে দেশের প্রথম জলবিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাঁধ দেওয়ায় গড়ে ওঠে কাপ্তাই হ্রদ। পরবর্তীকালে বৃহৎ বদ্ধ জলাশয় কাপ্তাই হ্রদ পরিণত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় মৎস্য ভান্ডারে।

যদিও দিনে দিনে জৌলুস হারাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদ। হ্রদের তলদেশে পলি জমে নাব্য সংকট, কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননে ভাটার পাশাপাশি মাছের উৎপাদন কমে এসেছে। বিগত ৩ মৌসুম ধরে আশঙ্কাজনক হারে কমছে মাছের উৎপাদন। এদিকে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির সাতটি চেকপোস্ট দিয়ে অবৈধভাবে মাছ পাচার করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে বলে সতর্ক করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণনকেন্দ্রকে।

কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণনকেন্দ্রের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে (২০২২-২৩ অর্থবছর) কাপ্তাই হ্রদ থেকে ৫ হাজার ৪৯০ টনের অধিক মাছ অবতরণ করা হয়েছে। এর বিপরীতে বিএফডিসির রাজস্ব আদায় হয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখ টাকা। গত ২০২১-২২ মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ৬ হাজার ৫২৩ টনের অধিক মাছ অবতরণ করা হয়েছে। এর বিপরীতে বিএফডিসির রাজস্ব আদায় হয়েছে ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এছাড়া ২০২০-২১ মৌসুমে ৬ হাজার ৭৯৪ টন মাছ অবতরণের বিপরীতে ১২ কোটি ১৩ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এর আগের ২০১৯-২০ মৌসুমে ৮ হাজার ৫৬২ টন মাছ অবতরণের বিপরীতে ১৫ কোটি ৩৬ লাখ।

বিপণনকেন্দ্রের মার্কেটিং অফিসার কাজী মঞ্জুরুল আলম বলেন, চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৪৯০ টন মাছ অবতরণের বিপরীতে ১১ কোটি ২০ লাখ রাজস্ব আদায় হয়েছে। বিগত মৌসুমের তুলনায় এবার উৎপাদন ও রাজস্ব আয় দুটোই কমেছে। মাছের রাজস্ব ফাঁকি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া বলেন, রাজস্ব ফাঁকি ও মাছ পাচারের কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে নেই।