পাট চাষে নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  যশোর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মণিরামপুর উপকেন্দ্রের জুট ফার্মিং বিভাগ পাট চাষের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। এতে তিনজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মূল ভূমিকা পালন করেছেন। তারা হলেন- উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল হোসেন ও বিশ্বজিৎ কুমার। তারা পাট বোনার পরিবর্তে রোপণ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। টানা চার বছর গবেষণার পর এর সফলতা পেয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা। এবার যশোরে কৃষক পর্যায়ে রোপণ পদ্ধতি চাষ শুরু হয়েছে।

রোপণ পদ্ধতিতে পাট চাষ করলে পাটের পূর্ণ জীবনকালের পর চাষিরা কাটতে পারবেন। ফলে আগের তুলনায় ফলন বৃদ্ধি পাবে। কম জন্ম হবে আগাছা। এতে শ্রমিক খরচ কমবে। আর ধান চাষের পর জমির সঠিক ব্যবহারও সম্ভব হবে নতুন এ পাটচাষ পদ্ধতিতে। সব মিলিয়ে চারা রোপণ পদ্ধতিতে পাটের আঁশ উৎপাদনে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ পাট গবেষণার উপকেন্দ্র মণিরামপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

তিনি আরো জানান, পাট গবেষণার যশোর অফিস চারা রোপণ পদ্ধতি সম্প্রসারণের জন্য যশোরের সদর, মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলায় ৭ একর জমি ‘প্রদর্শনী ক্ষেত’ হিসেবে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে পাটের চারা সরবরাহ করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, সাধারণ পাটের জীবনকাল ১২০ দিন। কিন্তু বোরো ধান কেটে ওই জমিতে পাট চাষ করতে গেলে পুরো জীবনকালের আগেই অনেক চাষি পাট কাটতে বাধ্য হন। ফলে পাটের উৎপাদন কমে যায়।