ঢাকা ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হুমকির মুখে তিল্লি সেতু

হুমকির মুখে তিল্লি সেতু

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লি সেতু। রাধের আঁধারে ভেকু দিয়ে এই মাটিকাটা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শরীফুল ইসলামের (ধলা) নেতৃত্বে চলছে এই অবৈধ মাটিকাটা। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে মাটিকাটার যন্ত্র (ভেকু) ও দুটি মাহেন্দ্র জব্দ করেছে। স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৩ বছর আগে সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লি ইউনিয়নের কালীগঙ্গা নদীর ওপর তিল্লি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। কিন্তু সম্প্রতি তিল্লি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম তার লোকজন দিয়ে সেতুর পিলারের নিচ থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছেন। এতে সেতুটি হুমকির মুখে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন এর প্রতিবাদ করলেও তাদের নানা হুমকি ধামকি দেয়া হয়েছে। ফলে চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর ভয়ে কেউ এর প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা সাফি মিয়া জানান, রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে প্রতিদিন মাটিকাটা হয়। সেই মাটি পরিবহন করা হয় ১০ থেকে ১৫টি মাহেন্দ্র গাড়ি দিয়ে। বিকট শব্দে গ্রামবাসী ঘুমাতে পারে না। ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রতন মিয়া ও সিরাজুল হক। তারা একটি সড়ক উন্নয়ন কাজের দোহাই দিয়ে অবৈধভাবে এই মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করছেন। সেতুর নিচ থেকে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে এস্কেভেটর (ভেকু) মালিক আলামিন মিয়া জানান, ৩ মাস আগে চেয়ারম্যান তার কাছ থেকে ভেকু ভাড়া নেন রাস্তা মেরামতের কথা বলে। কিন্তু তিনি কালিগঙ্গা সেতুর নিচ থেকে বালু তুলবেন তা তাকে জানাননি।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিম জানান, বর্ষা মৌসুমে নদীতে স্রোত বেশি থাকায় এমনিতেই পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। তারপর এস্কেভেটর দিয়ে যদি মাটি তোলা হয়, তাহলে তো চরম হুমকির মুখে পড়বে সেতুটি। সরেজমিন পরিদর্শন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. শরীফুল ইসলাম ধলা জানান, উপজেলার উত্তর আয়নাপুর এলাকায় দুটি সড়কের বেহাল দশা। সম্প্রতি সড়ক দুটি সংস্কারে ২ লাখ টাকার প্রকল্প পাওয়া গেছে। কিন্তু কোথাও মাটি পাওয়া যাচ্ছিল না। এ কারণে সাধারণ মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য নদী থেকে বালু তুলে রাস্তায় দেয়া হচ্ছে। চুরি করে বালু বিক্রি করা হয়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত