ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষক আলমগীর শাকসবজি চাষে স্বাবলম্বী

প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

আলমগীর হোসেন (৪৮)। তিনি একজন কৃষক। মৌসুম অনুযায়ী লালশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক, ঢ্যাঁড়স, পাটশাক, বেগুন, করলা, বরবটিসহ নানা ধরনের শাকসবজি চাষ করেন। সেই সঙ্গে প্রতিদিন সকালে বাইসাইকেলে করে এসব শাকসবজি বিক্রি করতে ছুটে চলছেন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। শাকসবজি চাষ করে নিজ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয়ভাবে বিক্রি করে প্রতি মাসে খরচ বাদে তার আয় হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। কঠোর পরিশ্রম আর নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হওয়া যায় তার বাস্তব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কৃষক আলমগীর হোসেন। কৃষক আলমগীর হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের সন্তান। শাকসবজি পরিচর্যা আর বিক্রি সব কিছুই তিনি নিজে করছেন। সবজি চাষে কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় তিনি এখন বছরজুড়ে নানা ধরনের শাকসবজি চাষ করে আসছেন। আর এই চাষে ঘুচিয়েছেন পরিবারের অভাব-অনটন। তিনি জমিতে শাকসবজি পরিচর্যার পাশাপাশি বিক্রির জন্য শাকসবজি তুলছেন। শাকসবজির পরিচর্যা আর বিক্রি নিজেই করছেন। স্থানীয় পর্যায়েও রয়েছে তার শাকসবজির ভালো কদর। কৃষক আলমগীর হোসেন জানান, কাজকর্ম না থাকায়, কোনো উপায় না পেয়ে ধারদেনা করে প্রবাসে চলে যান। সেখানে ভালো কিছু করতে না পেরে আবার দেশে ফিরে আসেন। এরপর তিনি সবজি চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে বাড়িসংলগ্ন দেড় বিঘা জমিতে প্রথমে তিনি লালশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক, বেগুন দিয়ে তার যাত্রা শুরু করেন। ফলন ভালো হওয়ায় নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে খরচ বাদে ভালো টাকা আয় হয়। এরপর শাকসবজি চাষের প্রতি তার মনোবল আরও বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মৌসুম অনুযায়ী সারা বছরই শাকসবজি চাষ করছেন। তিনি জানান, প্রতিদিন সকালে শাকসবজি বাইসাইকেল নিয়ে গ্রামে-গ্রামে ঘুরে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার উপর বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া অনেকে তার বাড়ি থেকে সবজি ক্রয় করছেন বলে জানান তিনি।