চাঁই তৈরিতে ব্যস্ত তারা

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

খাল-বিল, নদী-নালায় নতুন পানি আসতে শুরু করেছে। নতুন পানির সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন মাছ। আর সেই মাছ ধরার জন্য চাঁই তৈরিতে ব্যস্ততা বাড়ছে কারিগরদের। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামে চাঁই বুননে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রায় অর্ধশত কারিগর। একদিকে নতুন পানি, অন্যদিকে দেশীয় মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় খাল, বিল, নদীতে মাছের সংখ্যা বাড়ছে। দেশি মাছের স্বাদ নিতে গ্রামের খালে এবং উন্মুক্ত জলাশয়ে চাঁই পেতে মাছ ধরছে গ্রামের মৎস্যজীবী, হতদরিদ্রসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। তাই চাহিদার সামাল দিতে চাঁই বুননে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। শুধু ঘরের কর্তাব্যক্তি নয়, চাঁই বুনন কাজে সহযোগিতা করছে স্ত্রী, পুত্র, এমনকি পরিবারের বৃদ্ধ মা-বাবাও। তাদের সহযোগিতায় বুনন কাজে গতি পেয়েছেন কারিগররা।

চাঁই বুননের কারিগর উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র সরকার বলেন, প্রতি বছর মাঘ মাসে চোখের দৃষ্টিতে অনুমান করে ১৮০ থেকে ২০০ টাকার প্রতিটি বাঁশ কিনতে হয়। এর পর বাঁশ সাইজ মতো কেটে পানিতে ভিজিয়ে রেখে শলা তৈরি করতে হয়। প্রতি সপ্তাহের ৩ দিন বাঁশ থেকে শলা তৈরি করি। ওই শলা তৈরির ফাঁকে বাকি ৪ দিন দিনমজুরির কাজ করে বর্তমানে সংসার চালাচ্ছি। সরকারি সহায়তায় সহজ শর্তে এবং বিনা সুদে ঋণ পেলে একটু ভালোভাবে জীবন কাটাতে পারতাম।

চাঁই বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, বর্তমানে প্রতিটি চাঁই গড়াসহ (চাঁইয়ের দু’পাশের বেড়াসহ) ১২০ থেকে ১২৫ টাকা বিক্রি করছি। গড়া ছাড়া বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। তিনি আরও বলেন, আমি নিজে চাঁই বানাই না। কারিগরদের কাছ থেকে কিনে এনে বিক্রি করি। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার ও ছেলেমেয়ের লেখা পড়ার খরচ চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।