কাকিলাদহের তালগাছে আড়াই কোটি টাকার রস!

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

গ্রামের তিন ধারে রয়েছে মাঠ আর মাঠ- রাস্তায় সারি সারি তালগাছ। মাঠের যতদূর চোখ যায়, ততদূর দেখা যায় তালগাছের সারি। জমির আইলের সীমানা যেন তালগাছেরই।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষের আনাগোনা। দুপুর কিংবা বিকেলে গ্রামের বাতাসে মিষ্টি তালের রসের সুগন্ধ পাওয়া যায়। একটি গ্রামের মাঠে আর রাস্তায় ১৫-২০ হাজারের বেশি তালগাছ রয়েছে। গ্রামটি যেন তালগাছেরই।

গ্রামের দাউদ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি তার জমির সীমানা এবং শ্রমিকদের ছায়ার ব্যবস্থা করতে শুরু করেন তালগাছ রোপণ। সেই গাছের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন পুরো গ্রামের চারপাশ ছেয়ে গেছে। আর এ তালগাছকে কেন্দ্র করে এখন অনেকটাই সচ্ছল গ্রামের কৃষকরা।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাকিলাদহ গ্রামের চিত্র এটি। সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য মতে, ৪ হাজার ৪৩৬ জন ভোটারের বসবাস এ গ্রামে। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৪৪ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার।

এক মৌসুমে শুধু তালের রস বিক্রি করেই এ গ্রামের মানুষের আয় হয় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার বেশি। অনেকে পেশা পরিবর্তন করেন তালের রসের মৌসুমে। তালের রস, তালের শাঁস, পাকা তাল, তালের পাতা ইত্যাদি বিক্রি করেন তারা। এর মধ্যে বেশি লাভজনক হলো তালের রস। তারা দুই ধরনের তালের রস সাধারণত বিক্রি করেন। কাঁচা মিষ্টি রস এবং জাল দেওয়া পাকা রস।

তবে কাঁচা রসের চাহিদাই বেশি। তালের গাছিদের দেওয়া তথ্য মতে, শুধু কাকিলাদহ গ্রামে এ তালের রস বিক্রির সঙ্গে জড়িত ১০০ থেকে ১৫০টি পরিবার। যারা দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে এ পেশায় রয়েছেন। গরমের সময় এ সংখ্যা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। একেক গাছ থেকে চার মাসে একজন ২০ হাজার টাকার বেশি আয় করেন।