ঢাকা ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অসময়ে তরমুজ চাষে সফল নীলফামারীর কৃষক

অসময়ে তরমুজ চাষে সফল নীলফামারীর কৃষক

দূর থেকে দেখে মনে হতে পারে মাচায় ঝুলছে লাউ-কুমড়া। কিন্তু কাছে গিয়ে একটু ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যাবে, সেগুলো লাউ বা কুমড়া নয়। মাচায় জাল দিয়ে মোড়ানো ব্যাগের ভেতরে ঝুলছে হলুদণ্ডসবুজ-ডোরাকাটা রসালো তরমুজ। অসময়ে উৎপাদিত তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন নীলফামারীর তিন কৃষক। কৃষি বিভাগের সহায়তায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে প্রথমবারেই সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। ফলে অনেক কৃষকই এই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কৃষি বিভাগের অনুপ্রেরণায় এবার সদরের উপজেলার ৩ জন কৃষক ৩৪ শতাংশ জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। জেলায় প্রথমবারের মতো তরমুজ চাষ করা তিন কৃষকের মধ্যে অন্যতম কানিয়ালখাতা গ্রামের কৃষক সামছুল হক। নিজের কৃষিজমি ২৬ শতক হলেও বার্ষিক চুক্তি নিয়ে চার বিঘা জমিতে শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসল ফলান তিনি। এবার ১৫ শতক জমিতে চাষ করেছেন গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। জমিতে চারা রোপণের ৭৫ দিনে অসংখ্য তরমুজের দেখা মিলেছে তার ক্ষেতে।

কৃষক সামছুল হক বলেন, আমি প্রতিবছর বেগুন, পটোল, ঢ্যাঁড়শ ও মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য শাকসবজির আবাদ করি। এই বছর প্রথম ১৫ শতাংশ জমিতে তরমুজের আবাদ করেছি। চাষ করার পর কৃষি অফিস থেকে এসে আমার চাষাবাদে পরামর্শ দেন কর্মকর্তারা। আমি শুধু একটু শ্রম দিচ্ছি। আমার এখানে কোনো রোগবালাইও নেই, ফলনও ভালো আছে। ১৫০টি তরমুজ গাছ রয়েছে। এতে ৬০০-এর বেশি তরমুজ আছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত