হুমকির মুখে কুড়িগ্রামের একমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিক

প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ১৬টি নদীতে মৃদু ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ বেশ কয়েকটি নদ-নদীর তীরবর্তী মানুষ বসতভিটা ও ফসলি জমি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙনরোধের চেষ্টা করলেও রক্ষা পাচ্ছে না স্কুল, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হুমকির মুখে রয়েছে এলাকার একমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিকটি। সরেজমিন দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে জেলার উলিপুর, চিলমারী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরভগবতীপুরে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরভগবতীপুরে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে চরভগবতীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকসহ আশপাশের ৪টি গ্রাম।

স্থানীয়রা জানান, নদীর পানি বন্যায় পরিণত হওয়ার আগেই যেভাবে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে, আসন্ন বন্যায় এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে নদীশাসন চান এলাকাবাসী। চরভগবতীপুরের কৃষক মো. নুর ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহে আমার দুই বিঘা আবাদি জমি নদীতে চলে গেছে। এখনো বন্যা আসেনি, এতেই যে ভাঙনের অবস্থা, জানি না কপালে কী দুঃখ আছে। চর ভগবতীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে অনেক জমি-বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকটি ভাঙনের মুখে। গতকাল ক্লিনিকটির স্থাপনা নিলামে তোলা হয়েছিল। সরকারি সিডিউল অনুযায়ী মূল্য না ওঠায় বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। আজ যে অবস্থা দেখছি যেকোনো মুহূর্তে ক্লিনিকটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা ক্লিনিকের ভেতরের সব আসবাবপত্র ও ওষুধ অন্য জায়গায় নিয়েছি। অস্থায়ীভাবে সেখানে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক চেষ্টা করেও ক্লিনিকটি রক্ষা করা গেল না। আবার কবে ওই চরে ক্লিনিকের স্থাপনা হবে জানি না।