পদ্মার ভাঙন হুমকিতে জাজিরার ৬ ইউনিয়ন

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

উজান থেকে আসছে ঢলের পানি। সেই সঙ্গে হচ্ছে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিও। এ অবস্থায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় পদ্মা নদী আগ্রাসী রূপ নিচ্ছে। পদ্মা সেতুর প্রায় দুই কিলোমিটার ভাটিতে জাজিরার ছয়টি ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা নদীভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। নদীভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তীরবর্তী গ্রাম ও ফসলি জমি বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে পূর্বনাওডোবা, পালেরচর, বড়কান্দি, জাজিরা, বিলাশপুর ও কুন্ডেরচর ইউনিয়নের বেশকয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, নাওডোবা এলাকার ওপর দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর আশপাশে সেনানিবাসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। ওইসব স্থাপনা ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে নদী শাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্প এলাকা থেকে ভাটির দিকে পূর্বনাওডোবার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত আরও এক কিলোমিটার এলাকা তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বর্ষার সময় পানি প্রবাহ শুরু হলে ওই জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে কুণ্ডেরচর পর্যন্ত অন্তত ১১ কিলোমিটার নদীভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

পদ্মার আগ্রাসী থাবায় পড়েছে পূর্বনাওডোবা, পালেরচর, বড়কান্দি, জাজিরা, বিলাশপুর ও কুন্ডেরচর ইউনিয়নের গ্রামগুলো। এর আগে গত তিন বছরে নদী ভাঙনে জাজিরার ওইসব এলাকার ২ হাজার ৬৭০টি সরকারি-বেসকারি স্থাপনা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। ১ দশমিক ৪ কিলোমিটার এলাকা নদীতে প্রবেশ করেছে।

জানা যায়, বড়কান্দি ইউনিয়নের রঞ্জন ছৈয়ালকান্দি গ্রামটি গত চার বছরে পদ্মার ভয়াল থাবায় বিলীন

হওয়ার পথে। ওই গ্রামের বাসিন্দা লোকমান হোসেনের একটি বসতবাড়ি ও ছয় একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।