নেত্রকোনায় কমেছে তামাক চাষ বেড়েছে ফসল উৎপাদন

প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

নেত্রকোনায় গত বছরের চেয়ে এবার তামাক চাষ কমেছে। পাশাপাশি ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদন বেড়েছে। গত বছর যেখানে জেলায় ক্ষতিকর তামাক চাষ হয়েছিল ৩০ হেক্টর জমিতে। এবার আবাদ কমে ২৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। তবে অনেক চাষি এখনও তামাক চাষের কুফল সম্পর্কে তেমন একটা জানেন না। এ নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং, দুল্লী, বৈরাটী, ছিলিমপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় মতিহার ও সুমাত্রা জাতের তামাক চাষ হয়। বৈরাটী গ্রামের তামাক চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বহু বছর আগে থেকে আমাদের পূর্বপুরুষের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে আমরা তামাক চাষ করে আসছি। এতে আমাদের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে ক্ষতি হলেও বুঝি না। এ ছাড়া ধানের তুলনায় ফলন ভালো হওয়ায় তামাক চাষে দ্বিগুণ আয় হয়।’ তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগ নিরুৎসাহিত করায় এখন তামাক চাষ কম হচ্ছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা তামাক চাষের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে আমাদের নিরুৎসাহিত করছেন। এ জন্য গত বছরের তুলনায় এবার চাষ কম হয়েছে। আমরাও ধীরে ধীরে চাষ কমিয়ে দিচ্ছি। একই গ্রামের তামাক চাষি আহাদ মিয়া বলেন, বছরে জমিতে দুটি ফসল করে থাকি। একটা হলো পাট আরেকটি তামাক। তামাক অক্টোবর মাসের দিকে আবাদ শুরু হয়। তিন-চার মাসেই ফলন পাওয়া যায়। ১০ শতক জমিতে ধান পাওয়া যায় চার-পাঁচ মণ। খরচ বেশি হওয়ায় ধান চাষে পোষে না। তাই পাট ও তামাক চাষ করি। তবে কৃষি অফিসের লোকজন তামাক চাষ করতে এখন নিষেধ করছেন। চাহিদা বেশি থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার চাষিরা তামাক চাষ করছেন জানিয়ে বৈরাটী গ্রামের তামাক চাষি আব্দুল করিম বলেন, তামাক চাষের কারণে চাষিদের শ্বাসকষ্ট এবং কাশি সারা বছর লেগেই থাকে। অধিকাংশ চাষি ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। এ নিয়ে বেশি করে প্রচারণা চালানো দরকার। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি জানিয়ে কৃষকদের মাঝে প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে জানালেন পাইকুহাটির নয়াপাড়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম।