ঢাকা ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গোপালগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন

গোপালগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন

জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয়েছে। বোরো মৌসুমে ধানের জেলা গোপালগঞ্জে ৪ হাজার ৮৭৩ মেট্রিক টন ৭০০ কেজি ধান লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়েছে। সরকার মৌসুমের শুরুতে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনার ধান বীজ, সার বিতরণ করে। তারপর এ জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে কৃষক হাইব্রিড ধানের আবাদ করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পারামর্শ প্রদান করে। এছাড়া কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের ধান উৎপাদন বৃদ্ধিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়ে ৬৮৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি করেন।

এসব কারণে গোপালগঞ্জের কৃষকরা ৪ হাজার ৮৭৩ মেট্রিক টন ৭০০ কেজি ধান লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপপরিচালক আ. কাদের সরদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি জমিও ফেলে না রেখে আবাদের আওতায় এনে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানান। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করি। বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলায় আমরা ৮০ হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করি। কৃষক ৮১ হাজার ২২৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেন। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪৮ মেট্রিক টন ৮০০ কেজি। ৮১ হাজার ২২৯ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭২২ মেট্রিক টন ৫০০ কেজি ধানের ফলন পাওয়া গেছে।

সেই হিসাবে গোপালগঞ্জ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার ৮৭৩ মেট্রিক টন ৭০০ কেজি ধান বেশি উৎপাদিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলায় প্রায় ৬২ হাজার হেক্টরে হাইব্রিড ধানের আবাদ হয়েছে। এ কারণে ধানের ফলন প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় বলেন, কৃষকের আন্তরিকতার ও পরিশ্রমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ধান উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। এ কৃতিত্ব আমাদের কৃষকের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত