ঢাকা ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দর্জি জহিরুল এখন একজন সফল পান চাষি

দর্জি জহিরুল এখন একজন সফল পান চাষি

‘বাটা ভরা পান দেবো, গাল ভরে খেয়ো’ ছড়ার এই কথাতেই অনুধাবন করা যায় পান যে বাঙালির আতিথেয়তার অন্যতম এক অনুষঙ্গ। বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান, পালা-পার্বণ, বিয়েসহ যে কোনো আয়োজনে সবশেষে যেন পান থাকতেই হবে। গ্রামবাংলার এমনকি শহুরে বাঙালির অনেকেই পান খেয়ে থাকেন। টাঙ্গাইলের নাগরপুরে প্রথম সেই পান চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জহিরুল ইসলাম। তিনি নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের মৃত সরব আলীর ছেলে। অন্যের দোকানে দর্জির কাজ করে অভাব-অনটনে সংসার চলে তার। এক বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করে রাজশাহী থেকে মিষ্টি জাতের প্রায় ৫ হাজার পানের চারা এনে বাড়ির পরিত্যক্ত পতিত জমিতে রোপণ করেন।

পান চাষ করেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি ও তার পরিবার। এখন শখের বসে গড়ে তোলা পানের বরজের পরিচর্যা করে দিন কেটে যায় তার। বরজের পান বিক্রি করেই স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে চলছে জহিরুলের সংসার। পান চাষি জহিরুল ইসলাম জানান, নাগরপুর উপজেলায় তিনিই প্রথম পান চাষ শুরু করেন। চারদিকে পাটখড়ির বেড়া ও ওপরে ছাউনি দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়। এতে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। কোনো রকম সমস্যা দেখা দিলে রাজশাহী থেকে অভিজ্ঞ দুই-একজন পান চাষি এনে তাদের পরামর্শ নেন। ৯ মাস পর থেকে পান তোলা শুরু করেন তিনি। স্থানীয় বাজার ছাড়াও রাজশাহীতে পান বিক্রি করতে নিয়ে যান জহিরুল। তবে পান চাষের জন্য জমি উপযোগী কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল তার। সেই সংশয় কাটিয়ে এখন সফলতার মুখ দেখছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত