ঢাকা ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কুমিল্লায় এক জমিতে বছরে চার ফসল

কৃষক লাভবান
কুমিল্লায় এক জমিতে বছরে চার ফসল

এক সময়ে এই গ্রামের কৃষকরা মৌসুমে দুইবার ধান চাষ করতেন। বাকি সময় জমি খালি পড়ে থাকতা। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সেখানে বর্তমানে সরিষা ও তিল চাষ করা হচ্ছে। ধারাবাহিক চার ফসল হচ্ছে সরিষা, তিল, রোপা আউশ ও আমন। কৃষি অফিসের সূত্রমতে, উপজেলার পাহাড়পুর এলাকায় ৬০ বিঘা জমিতে বারি সরিষা ১৪ চাষ করা হয়। সরিষা ফসল তোলার পর ২০ বিঘা জমিতে বিনাতিল-২, বারি তিল-৪, হোমনার স্থানীয় তিল চাষ করা হয়েছে।

এক জমিতে বছরে চার ফসল করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। সূত্রমতে, এই মাঠে তিল বিঘাপ্রতি ৪-৫ মণ উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য ১৬-১৮ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘাপ্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি লাভ ১২-১৪ হাজার টাকা। সরিষা বিঘাপ্রতি ৪-৫ মণ উৎপাদন হয়, যার বাজার মূল্য ১৬-২০ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘাপ্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি লাভ ১২-১৬ হাজার। আউশ ধান বিঘাপ্রতি ১৪ মণ করে ফলন হলে আয়-১৫ হাজার টাকা, ব্যয়-১১ হাজার টাকা ধরলে লাভ হতে পারে ৪ হাজার টাকা।

স্থানীয় কৃষক সেলিম রেজা বলেন, রবি মৌসুমে সরিষা চাষের পর পাহাড়পুর গ্রামের মাঠের জমিগুলো পতিত থাকত। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের তিল চাষের পরামর্শ দেয় ও বীজ বিতরণ করে। শুরুতে তিল চাষের অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে ২০ বিঘা জমিতে তিল চাষ সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে জমির পরিস্থিতি দেখে বিঘাপ্রতি ১২-১৪ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, বোরো-রোপা আমন শস্য বিন্যাসের স্থলে সরিষা-তিল-রোপা, আউশ-আমন শস্য বিন্যাসে বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত আয় সম্ভব গড়ে ২৫ হাজার টাকা। পাহাড়পুরের মোট ৮০ বিঘা জমিতে প্রতিবছর অতিরিক্ত ২০ লাখ টাকা অর্থনীতিতে যুক্ত হবে। দেশের তেল চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি গ্রামের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত