যশোরে কলেরার জীবাণু শনাক্ত

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  যশোর প্রতিনিধি

যশোরে একাধিক উৎস থেকে কলেরা জীবাণু ছড়িয়েছে। শহর থেকে গ্রামের সব রকমের উৎস পানির দূষণ দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ এটাকে ‘আউটব্রেক কন্টিনিউ’ বললেও এখনো ‘এপিডেমিক’ বা মহামারির পর্যায়ে গেছে এমনটি বলতে নারাজ। তবে ‘এনডেমিক’ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এনডেমিক হলে দীর্ঘ মেয়াদে এই রোগের জীবাণু পুরোপুরি ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত কমিউনিটিতে থেকে যায় এবং আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ পেলেই বিস্তার ঘটতে থাকে।

সূত্র জানায়, ডায়রিয়ার মারাত্মক বিস্তারের পরিস্থিতিতে জাতীয় রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) রোগতত্ত্ব গবেষণা দল দ্বিতীয় বারের মতো যশোরের উপদ্রুত অঞ্চল পরিদর্শন ৩০ মে সম্পন্ন করেছে। প্রথম পরিদর্শনের গোপনীয় প্রতিবেদনে দলের প্রধান ডা. মোসাম্মাৎ জেবুন্নেসা কলেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ডায়রিয়াজনিত অসুস্থতায় রোগী বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসের অনুরোধে আইইডিসিআরের গবেষণা দল দ্বিতীয়বার এই অঞ্চল পরিদর্শন করে। সপ্তাহকালের গবেষণালব্ধ ফলাফল নিয়ে তারা চূড়ান্ত বিশ্লেষণে রয়েছে বলে সূত্র জানায়।

দ্বিতীয় দফার গবেষণায় শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের যেসব এলাকায় রোগী বেশি, সেসব এলাকা বেশি পরিদর্শন করে। এতে তারা নিশ্চিত হয়েছেন ‘পয়েন্ট সোর্স’ অর্থাৎ নির্দিষ্ট একটি উৎস থেকেই জীবাণুর বিস্তার ঘটেনি। বরং ‘মাল্টিপোল সোর্সে বা একাধিক উৎস’ জীবাণুর অস্তিত্ব রয়েছে। এমনকি গ্রামের সাবমার্সিবল টিউবওয়েলের পানিতেও জীবাণু পাওয়া গেছে। প্রথমবারের গবেষণায় শহরের সাবমার্সিবল টিউবওয়েলেও কলেরার জীবাণু শনাক্ত হয়েছিল। এবারের গবেষণায় পানির পাশাপাশি অন্যান্য খাবার থেকেও জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন। গবেষক দলটি জেলার বিভিন্ন ড্রেন, বাসাবাড়ির টয়লেট, পানির পাইপলাইন, স্যুয়ারেজ লাইনের তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখতে পান অত্যন্ত প্রতিকূল অবস্থায় এগুলোর সহবস্থান রয়েছে। পাশাপাশি এমনকি স্যুয়ারেজ লাইনের সঙ্গেও মিশে রয়েছে পানির লাইন।