ঢাকা ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কলা চাষ করে পিরোজপুরে ভাগ্য বদলেছে কৃষকের

কলা চাষ করে পিরোজপুরে ভাগ্য বদলেছে কৃষকের

পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর দু’পাশের গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কলা চাষে জড়িত। এটি তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম। কলা চাষকে কেন্দ্র করেই ঘোরে এলাকার অর্থনীতির চাকা। বছরের পুরো সময়েই কোনো না কোনো জাতের কলা উৎপাদন হয়। বাগানে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে ঝুলন্ত কলার কাদি। দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পিরোজপুরের প্রধান ফসল ধান। তবে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বলেশ্বর নদীর দু’পাড়ে ধানের জমিতে গড়ে উঠেছে কলার বাগান। সময়ের বিবর্তনে ধানের জমি বিলুপ্ত হয়ে সেখানে কলা চাষ হচ্ছে। এতে কয়েক হাজার মানুষের ভাগ্য বদলে গেছে।

এখানকার নদীর পানি কলা চাষের উপযোগী। দেশব্যাপী পিরোজপুরের কলার চাহিদা থাকায় সারাবছর সাগর, সবরি, কাঁচা, চম্পা ও কাঁঠালিসহ বিভিন্ন প্রজাতির কলা চাষ হয়। এলাকার শতকরা ৮০ ভাগের বেশি মানুষ কলা চাষের সঙ্গে জড়িত। তাই দিন দিন কলার আবাদ বাড়ছে। কলা চাষি মনির হোসেন জানান, বর্তমানে ট্রাক, লঞ্চ কিংবা বড় ট্রলারে করে সরাসরি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে পিরোজপুরের কলা।

কলা চাষি মো. জামাল খান জানান, চলতি মৌসুমে পুরোদমে চলছে সবরি, সাগর ও কাঁচকলা সংগ্রহের কাজ। প্রায় এক মাস আগ থেকে শুরু হওয়া কলার এ মৌসুম চলবে আরও আড়াই থেকে তিন মাস। একটি গাছ থেকে কলা পেতে প্রজাতি ভেদে ১৫০-২৩০ টাকা খরচ হয়। এ থেকে আয় হয় ৩০০-৬০০ টাকা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত