ঢাকা ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে সবুজের সাফল্য

কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে সবুজের সাফল্য

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রথমবারের মতো বারোমাসি কারিশমা জাতের তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন আব্দুল আলীম সবুজ সরকার নামে এক তরুণ উদ্যোক্তা। মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলনে খুশি তিনি।

কৃষি বিভাগ বলছে, দিন দিন তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেক বেকার তরুণ।

কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। সবুজ জানান, ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন কিছু করার। স্বপ্ন দেখতেন, কখনো বেকার থাকবেন না। তারপর বাবার ১০ শতাংশ জমিতে মাচাং পদ্ধতিতে থাই কারিশমা হাইব্রিড জাতের তরমুজ চাষ শুরু করেন। এক থেকে দেড় ফুট দূরত্বে চারা রোপণ করে বর্তমানে প্রতিটি গাছে ফলন হয়েছে তিন থেকে চারটি। ওজন আড়াই থেকে তিন কেজি। মাত্র ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয়ের আশা করছেন তিনি। এর আগেও তিনি কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন। তাই কৃষি অফিসের পরামর্শে বেশি লাভের আশায় প্রথমবারের মতো হাইব্রিড জাতের এই তরমুজ চাষ শুরু করেন। এখন এলাকাজুড়ে পরিচিতি বেড়েছে তার। সবুজের এই সাফল্য আশা জাগিয়েছে এলাকাবাসীর মাঝেও।

উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের সাতপোয়া গ্রামের আজিজ সরকারের ছেলে আব্দুল আলীম সবুজ। তিনি ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স করছেন। পড়ালেখা শেষ করার আগেই নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত করতে চান। স্থানীয়রা জানান, এর আগে কখনো এভাবে তরমুজ চাষ করতে দেখেননি তারা। এটি দেখে তারা অবাক হয়েছেন। ফলনও ভালো হয়েছে।

আগামীতে অল্প জমিতে কীভাবে তরমুজ চাষ করা যায়; সে বিষয়ে তারা সবুজের কাছে শিক্ষা নেবেন। উপজেলার মিঠুন, সজীব, শাহীন জানান, তাদের উপজেলায় কেউ তরমুজ চাষ করেন না। তাই সবুজের নতুন পদ্ধতির চাষাবাদ দেখতে ছুটে এসেছেন। চিন্তা করছেন, যেহেতু কম খরচে কম জমিতে বেশি ফলন পাওয়া যায়, তাই আগামীতে তারাও চাষ করবেন। সরিষাবাড়ী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি অফিসার শরীফুল ইসলাম বলেন, চারা রোপণ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সার্বক্ষণিক তার সঙ্গে কৃষি বিভাগ যোগাযোগ রেখেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত