দিনে-রাতে লোডশেডিং অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গেল দুই সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমের সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং। এতে করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এমন অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন জেলাবাসী। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধদের হাঁসফাঁস অবস্থা। দিন-রাত মিলিয়ে ১০ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। গরমে ভেজা কাপড় গায়ে জড়াচ্ছেন অনেকে। কখন বিদ্যুৎ আসবে সে খবরও কারো জানা নেই।

এদিকে হাসপাতালে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে অসুস্থ রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে। চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘জেলার ওপর দিয়ে কয়েক দিন ধরে মাঝারি থেকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। দিনের তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। এদিকে তাপপ্রবাহের সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং। লোডশেডিংয়ের কারণে দিনের বেলা বিভিন্ন কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রাতের বেলা মানুষ ঘুমাতে পারছে না।’

পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমাদের কার্যালয়ের অধীন পিক আওয়ারে (বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা) ১৯ মেগাওয়াট এবং অফপিক আওয়ারে (রাত ১২টা থেকে পরদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৬ ঘণ্টা) ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। সেখানে গড়ে পিক আওয়ারে সাড়ে ১৩ মেগাওয়াট এবং অফ পিক আওয়ারে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ মিলছে। গ্রিড কোম্পানি থেকে সরবরাহ কম পাওয়ায় গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিটি ফিডারে পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।’ গরমে অনেকেই রিচার্জেবল ফ্যান-লাইট ও আইপিএস কিনছেন। এই চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগে ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, সুযোগ বুঝে দোকানদারেরা এসব পণ্যে ৭০০ থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম হাঁকছেন।