কোরবানির জন্য প্রস্তুত নন্দীগ্রামের ৪৯ হাজার পশু

প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

যতই দিন যাচ্ছে ততই ঘনিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে বগুড়ার নন্দীগ্রামে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৪৯ হাজার ১৭১টি পশু। এ উপজেলায় কোরবানির চাহিদার তুলনায় এক হাজার ৬১টি পশু বেশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উদ্বৃত্ত এ পশু উপজেলার বাইরে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন খামারিরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলায় কোরবানির জন্য খামার ও বাড়িতে মোটাতাজা করা হচ্ছে ৪৯ হাজার ১৭১টি পশু। এর মধ্যে গরু ১২ হাজার ১৮১টি, মহিষ ৭৭টি, ছাগল ৩৪ হাজার ৯৫৫টি ও ভেড়া ১৫৫৮টি। উপজেলায় দুই হাজার ২৫১টি ছোট-বড় খামারি ও কৃষক বিভিন্ন জাতের গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া পালন করছেন। এসব পশু মোটাতাজাকরণে খামারি ও কৃষকরা যাতে কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার ব্যবহার না করেন, সেজন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কল্পনা রানী রায়। বাড়তি লাভের আশায় খামারিদের পাশাপাশি বাড়িতে পশুপালন করছেন কৃষকরা। উপজেলার চাহিদার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা পূরণ করবে এখানকার উদ্বৃত্ত পশু। খামারি ও কৃষকরা জানিয়েছেন, কেউ বাড়িতে আবার কেউ খামারে এসব পশু মোটাতাজা করছেন।

প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ ঘাস খাইয়ে বড় করা হচ্ছে এসব পশু। খড়ের পাশাপাশি খৈল, গমের ভুসি, ভুট্টার গুঁড়া, ধানের কুঁড়া, খড় ও বুটের খোসা খাওয়ান অনেকে। কোরবানিতে বিক্রির জন্য ২২টি ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন পৌরসভার নামুইট গ্রামের খামারি রহমত আলী। তার খামারে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা দামের পশু আছে। রহমান নগর মহল্লার খামারি মজিবর রহমান বলেন, ‘গরুকে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা ও সুস্থ রাখতে খড়, ভাতের মাড়, তাজা ঘাস, খৈল, গম, ছোলা, ভুসিসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। এ নিয়মে গরু মোটাতাজা করা হলে গরুর মাংস খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। আবার প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা গরুর চাহিদা থাকে বেশি। দামও পাওয়া যায় ভালো।’ নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কল্পনা রানী রায় বলেন, কোনো ধরনের হরমোন ব্যবহার না করে নিরাপদ ও প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করার জন্য খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।