ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কৃষকের ঘরে আনন্দ

কৃষকের ঘরে আনন্দ

কক্সবাজারে লবণের পর এবার কৃষিতেও বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি কৃষকরা। ফলে লবণচাষি ও ধানচাষিদের ঘরে এখন আনন্দণ্ডউৎসব। মহেশখালীর লবণ ও ধানচাষি আবু তালেব বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লবণচাষিরা যেমন লাভবান হয়েছে, তেমনি ধানচাষিদের ঘরেও উঠেছে কাঙ্ক্ষিত ফসল। লবণ ও ধানের মূল্য ছিল ভালো। ফলে কৃষকের ঘরে ঘরে চলছে বাঁধভাঙা আনন্দ। জেলার ৮ উপজেলার মাঠ থেকে বোরো ধান সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। গত মৌসুমের তুলনায় এ মৌসুমে বেশি দামে ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি হয়েছেন জেলার কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন, তেমন বড় কোনো ঝড়-বৃষ্টি ও দুর্যোগ না হওয়ায় ধানের ফলনের গত বছরের তুলনায় এবার একর প্রতি ২-৫০ মণ করে ফলন বেশি হয়েছে। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল অতিরিক্ত উৎপাদন করেছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে ৫৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে লক্ষ্যমাত্রার কম ৫৪ হাজার ৫৭৭ হেক্টরে চাষ হয়েছে। কারণ অনেক কৃষিজমিতে বাড়িঘরসহ নানা স্থাপনা তৈরি হয়েছে। হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান মিলে জেলায় চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৯ মেট্রিক টন। হেক্টর প্রতি ৩ মেট্রিক টন হিসেবে সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২ লাখ ২১ হাজার ১৫১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে।

এর মধ্যে সর্বাধিক উৎপাদন হয়েছে চকরিয়া উপজেলায় ৭০ হাজার ৭১৪ মেট্রিক টন। দ্বিতীয় সর্বাধিক উৎপাদন হয়েছে পেকুয়া উপজেলায় ২৯ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন। এরপর মহেশখালী উপজেলায় ২৮ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন, সদর ও ঈদগাঁও উপজেলায় ২৬ হাজার ৬০৫ মেট্রিক টন, রামু উপজেলায় ২৬ হাজার ২৯১ মেট্রিক টন, উখিয়া উপজেলায় ২৫ হাজার ২৯০ মেট্রিক টন, টেকনাফ উপজেলায় ৭ হাজার ৭৮৪ মেট্রিক টন এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ৬ হাজার ৪০৮ মেট্রিক টন। কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী অফিসার আশীষ কুমার দে বলেন, এ বছর বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৯ মেট্রিক টন। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২ লাখ ২১ হাজার ১৫১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল অন্য জেলায় সরবরাহ করা যাবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, সরকারি প্রণোদনার আওতায় জেলার কৃষকদের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এবার বোরো মৌসুমে হাইব্রিড ধানে ও উফশী জাতের ধানে প্রায় ৫ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ধান চাষে সব কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত