হাটের আকর্ষণ ‘ফরিদপুরের ডন’

প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

কোরবানির ঈদ এলেই দেখা মেলে বাহারি নাম আর বিশাল আকৃতির গরুর। প্রতিবারের মতো এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। এবছর ‘ফরিদপুরের ডন’ নামের একটি গরু এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় এসেছে। ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরেরকান্দি গ্রামের রুবায়েত হোসেনের গরু এটি। নিজ বাড়িতে লালনপালন করা বিশাল আকৃতির গরুর নাম দিয়েছেন ডন। আর একে দেখতে রুবায়েতের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন হাজারও মানুষ। ডনের ওজন বর্তমানে ১৬০০ কেজি। স্থানীয় অনেকের দাবি, ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু এটি। মূলত: এই প্রথম বিশালাকার গরুটিকে ঘরের বাইরে আনেন রুবায়েত। ২ বছর আগে ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে আনেন তিনি। গরুটিকে একটি ঘরের মধ্যে রেখেই লালনপালন করেছেন। ২ বছরের মধ্যে ১ দিনের জন্যও গরুটিকে ঘরের বাইরে আনেননি।

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এক সপ্তাহ আগে ঘর ভেঙে ডনকে বাইরে আনেন রুবায়েত। তখন ডনকে দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জমায় রুবায়েতের বাড়িতে। আসন্ন কোরবানির হাটে সবচেয়ে বড় গরু কোনটি তা নিয়ে আলোচনা চলে সব সময়। এ বছরের কোরবানি ঈদে ফরিদপুরের ‘ডন’ থাকবে সেই আলোচনার শীর্ষে- এমনটাই আশা এর মালিক রুবায়েত ও ফরিদপুরবাসীর। ‘ডন’-এর উচ্চতা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং লম্বায় ১২ ফিটের বেশি। ওজন ১৬০০ কেজির মতো। বলা হচ্ছে, ডনই ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু। এরই মধ্যে ডনকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। গরুটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করছেন মানুষ। তাদের মাঝে গরুটির দাম নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। স্থানীয়রা বলছেন, গো-খাদ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেকেই গরু-ছাগল পালন বন্ধ করে দিয়েছেন। কেউ বা গরু মোটাতাজাকরণের জন্য ইনজেকশন দেন কিংবা ওষুধ খাওয়ান। ‘ডন’ এর মালিক রুবায়েত হোসেনের দাবি, এমনটি করেননি তিনি। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে ডনকে। তিনি বলেন, আমি নিজে ঘাস চাষ করে গরুকে খাইয়েছি। পাশাপাশি ছোলা, ভুসি তো আছেই। প্রতিদিন কমলা, মাল্টা, আঙুর ও কলা খাওয়ানো হচ্ছে ডনকে। তিনি আরও বলেন, কোরবানি ঈদ আসার আগেই অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত দরদাম করছেন ক্রেতারা। ২৫ লাখ টাকা হলে বিক্রি করব। তবে আমার ইচ্ছা কোরবানির হাটে নিয়ে ডনকে বিক্রি করা।

সালথা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাহিদুল ইসলাম বলেন, ষাঁড়টিকে লালনপালনে সফল ব্যক্তি রুবায়েতকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। আশা করি, ষাঁড়টির ন্যায্যমূল্য পেলে বিক্রি করে লাভবান হবেন তিনি। এতে আরও অনেকে উৎসাহ পাবেন।