ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফুল চাষে মাসে আয় ৫০ হাজার

ফুল চাষে মাসে আয় ৫০ হাজার

শৌখিন খামারি সাইফুজ্জামান রিজন পড়াশোনার পাশাপাশি ফুল চাষ করে মাসে আয় করছেন ৫০ হাজার টাকা। তার সংগ্রহশালায় ৫০ রকমের শাপলা আর ৪০ রকমের পদ্মফুল আছে। মেহেরপুর উপজেলার শোলমারি গ্রামের এ তরুণ বাণিজ্যিকভাবে বিক্রিতেও সাড়া পা"েছন। বাড়িতে লাল, সাদা, হলুদ, বেগুনি, গোলাপি প্রভৃতি রঙের শাপলা ও পদ্মফুল চাষ করছেন তিনি। মেহেরপুর শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে স্কুলশিক্ষক আবুল হাশেমের ছেলে সাইফুজ্জামান রিজন। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়িতে ফুলের চাষ করছেন।

কয়েক বছর আগে শখের বশে জলাশয় ও খাল-বিল থেকে কয়েক জাতের শাপলা ও পদ্মফুল নিয়ে বাড়ির ছাদে সংরক্ষণ করেন। সেখানে ফুল ফুটলে সৌন্দর্য বেড়ে যায়। তখন থেকেই শুরু হয় শাপলা ও পদ্মফুলের চারা সংগ্রহের কাজ। এ পর্যন্ত ৯০ প্রজাতির শাপলা ও পদ্মফুলের টব সাজিয়েছেন। টবের পানিতে একই সঙ্গে চাষ করছেন মার্কারি বাহারি প্রজাতির শৌখিন মাছ। সাইফুজ্জামান রিজন বলেন, ‘শুরুটা ছিল শখের বশে মাত্র ২৫০ টাকা দিয়ে। একটি-দুটি করে বিভিন্ন রঙের শাপলা সংগ্রহ করতে থাকি। এখন আমার সংগ্রহশালায় শাপলা-পদ্মফুলের সমাহার। প্রতিটি ফুলের আলাদা আলাদা নাম। বিভিন্ন দেশ থেকে আনা ফুলগুলোর এরই মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু হয়েছে।

শাপলা আর পদ্মের গাছ বিক্রি করে মাসে আয় হ"েছ প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বিভিন্ন রঙের শাপলা আর পদ্ম উদ্ভাবনের চেষ্টা করে যা"িছ।’ রিজনের বোন সাখিয়া তাসনিম বলেন, ‘বাড়িতে সংগ্রহশালা করায় আলাদা কোনো সময় দিতে হয় না রিজনকে। অবসরে হালকা পরিচর্যা করলেই হয়। বিকেলে ফুলের পরিচর্যা করতে আমার ভালো লাগে। ফুলগুলো যখন ফোটে; তখন খুবই ভালো লাগে। শাপলা আর পদ্মের এই সমারোহ দেখতে অনেকেই আসেন আমাদের বাড়িতে।’

গাংনী ডিগ্রি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষক এনামুল আজীম বলেন, ‘একসময় দেশের ¯ি'র জলাশয়ে বিভিন্ন রকম শাপলা আর পদ্মের দেখা মিলত। বর্তমান প্রজন্ম দেখেনি সেসব ফুল। ছাদ বাগানে এমন জলজ উদ্ভিদের সংগ্রহ নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে। রিজনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’ মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সাইফুজ্জামান রিজন তার মেধা আর বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন। তার ছাদ বাগানে ৫০ প্রজাতির শাপলা আর ৪০ প্রজাতির পদ্মফুল আছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কয়েকবার গিয়েছি। আমাদের পরামর্শ, সাহায্য ও সহযোগিতা তার জন্য অব্যাহত থাকবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত