ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঝড়ে বিধ্বস্ত বিদ্যালয় ছাউনির নিচেই পরীক্ষা পাঠদান

ঝড়ে বিধ্বস্ত বিদ্যালয় ছাউনির নিচেই পরীক্ষা পাঠদান

প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয়ের কার্যক্রম ঠিকই পরিচালনা হচ্ছে। পাঠদান শুরু হচ্ছে ঝড়ে বিধ্বস্ত বিদ্যালয় ভবনে। মাথার ওপর ছাউনি না থাকায় চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়েই লেখাপড়া শুরু করছে শিক্ষার্থীরা। জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘর ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ায় পাঠদান ও পরীক্ষা চলছে কাপড়ের ছাউনির নিচে।

বিদ্যালয়ের মেরামতের সহযোগিতা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবেদন করেছেন প্রধান শিক্ষক। সমাজের হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত, শ্রমজীবী শিশু-কিশোরদের প্রাথমিক শিক্ষাদানের লক্ষ্যে ইসলামপুর পৌর শহরের পূর্ব ভেঙ্গুরা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ২০১৬ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের কাগজপত্র ঘেঁটে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি ৩০ শিক্ষার্থী নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ১৩৮ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ৭০ জন ছাত্র ও ৬৮ জন ছাত্রী রয়েছে। বিদ্যালয়ে পাঁচ জন শিক্ষক ও একজন দপ্তরি কর্মরত আছেন। জানা গেছে, ১৬ মে রাতের কালবৈশাখীতে বিধ্বস্ত হয়েছে বিদ্যালয়টির পুরো ঘর। যার ফলে সামিয়ানা টানিয়ে শিক্ষার্থীদের সাময়িক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সুলতানা, চতুর্থ শ্রেণির তাকিয়া, ছাত্র আশরাফুল বলে, স্কুলঘর ঝড়ে ভেঙে গেছে। সামিয়ানার নিচে পরীক্ষা দিতে আমাদের নানা সমস্যা হচ্ছে।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে টিনশেড ঘরটি পুরোটাই ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। তাঁবু টানিয়ে কোনো রকমে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। ঘরটি মেরামতের জন্য ইউএনও স্যারের কাছে আার্থিক সাহায্যের আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ ফেরদৌস জানান, বিদ্যালয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষার অধীনে সেটা আমাদের অধীনে নয়। বিষয়টি নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ তানভীর হাসান রুমান বলেন, বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত