পশুখাদ্যের দাম বাড়তি, তবু লাভের আশায় খামারিরা

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

আসন্ন কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে গরু মোটাতাজাকরণ করেছেন ভোলার খামারিরা। উন্নত খাবার দিয়ে বাণিজ্যিক ও পারিবারিক খামারিরা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন নিজেদের গরু। তবে পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও এবার লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন খামারিরা। তারা মনে করছেন, ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ হলে বেশি দামে দেশি গরু বিক্রি করতে পারবেন। এদিকে, কোনোভাবেই যাতে রোগাক্রান্ত গরু বাজারে বিক্রি করতে না পারে সেজন্য ২১টি ভেটেনারি টিম বসানো হয়েছে। একই সঙ্গে এ বছর হাটের পাশাপাশি ৮টি অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও গরু বিক্রির কথা জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর।

খামারিরা জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে বিগত ৩ বছর ধরে পশুর হাট তেমন জমেনি। এবার করোনার সংকট না থাকায় পুরোপুরি হাট জমবে এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে। ভোলা সদরের রাজাপুর ও ইলিশা ইউনিয়নের বিভিন্ন খামার ঘুরে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেশি লাভের আশায় প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করে খামারগুলোতে গরু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। জেলার প্রত্যন্ত এলাকার ছোট বড় খমারগুলোতে এখন দেখা যাচ্ছে দেশি গরুর সমারোহ। বেশি দাম দিয়ে পশু খাদ্য কিনে আনলেও এবার লাভের আশা করছেন খামারিরা।

ভোলা সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের খামারি মনসুর বলেন, গত ২ বছর ধরে গরুর ব্যবসা শুরু করি। এ বছরও গরু প্রস্তুত করেছি। খামারি জাকির জোসেন বলেন, কোরবানি ঈদের জন্য খামারে ৫৬টি গরু মোটাতাজাকরণ করেছি। আশা করি ভালো দাম পাব। রাজাপুর এলাকার আকতার ডেইরি ফার্মের পরিচালক আকতার হোসেন বলেন, এ বছর যদি ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ থাকে তাহলে আমরা বাজার দাম ভালো পাব। তাই আমাদের দাবি যেন ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ থাকে। জানা গেছে, প্রতি বছরই জেলার চাহিদা মিটিয়ে ভোলার গরু বাইরের জেলায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথায় আবার পশুর হাট বসেছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ৮৫ হাজার গরুর চাহিদার বিপরীতে ৯০ হাজার গরু-ছাগল সরবরাহ হবে বাজারে। গরুর হাটের পাশাপাশি এবার অনলাইনে অন্তত ৮ হাজারটি গরু-ছাগল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।