ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

লোডশেডিংয়ে ক্ষতির মুখে শিল্পকারখানা

লোডশেডিংয়ে ক্ষতির মুখে শিল্পকারখানা

লোডশেডিংয়ের কারণে জনভোগান্তির পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছে মেহেরপুরের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত। চাষিরা বিদ্যুতের অভাবে জমিতে পর্যাপ্ত পানি দিতে পারছেন না। মাছচাষে হ্রাস পেয়েছে উৎপাদন। গেল কয়েক দিনে তীব্র দাবদাহ ছিল মেহেরপুরে। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেও জাতীয় গ্রিড থেকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় বেড়েছে লোডশেডিং। গত দুই সপ্তাহ ধরে চলছে লোডশেডিং। অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে জেলার অন্তত ১৭০৭টি ছোট-বড় ও মাঝারি ধরনের শিল্প কারখানা। সেইসঙ্গে বিপাকে পড়েছেন এসব শিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক।

বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় এরই মধ্যে বন্ধের পথে ছোট ও মাঝারি ধরনের শতাধিক শিল্পকারখানা। এসব কারখানার মধ্যে রয়েছে হাসকিং ও ক্যাটল অ্যান্ড ফিস ফিড মিলস। মেহেরপুর ডায়মন্ড অটোমেটিক রাইস মিলের ম্যানেজার মারুফ হোসেন তপু জানান, গত কয়েক সপ্তাহের লোডশেডিংয়ে আমাদের উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে। আগে আমাদের অটোমিলে ৫০ টন চাল উৎপাদন হতো। আর এখন সেই উৎপাদন ২০ টনে ঠেকেছে।

মেহেরপুর ষোলটাকার দেলোয়ার হাসকিং অ্যান্ড ফিসফিড মিলের মালিক দেলোয়ার হোসেন জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় তিনি মিলের কাজ বন্ধ করেছেন। মিলে ১০ জন শ্রমিক ছিল তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা এখন বেকার। মেহেরপুর বিসমিল্লাহ এগ্রো ফিডের স্বত্বাধিকারী লাল্টু মিয়া জানান, বিদ্যুৎ সঠিকভাবে না পাওয়ায় তার মিলের তিনটি ইউনিটের একটি ইউনিট সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। উৎপাদন নেমেছে অর্ধেকে। তারপরও শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া যেসব মিলকারখানা চালু রয়েছে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় সেগুলোর উৎপাদন নেমেছে একেবারে তলানিতে। উৎপাদন কম হলেও প্রয়োজনের তাগিদে শ্রমিক রাখতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত