ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বীজহীন লেবু চাষে যুবকের ভাগ্য বদল

বীজহীন লেবু চাষে যুবকের ভাগ্য বদল

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা শাহজালাল। জীবিকার সন্ধানে সৌদি আরব পাড়ি জমিয়ে সুবিধা করতে না পেরে দেশে এসে লেবু চাষে মনোনিবেশ করেন তিনি। এর পরই সফলতা পেয়েছেন তরুণ এই উদ্যোক্তা। মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে লেবু চাষ করে বছরে প্রায় ৩ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন। এরই মধ্যে গ্রামের শিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকার যুবকরা শাহজালালকে অনুসরণ করতে শুরু করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবেরচর নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক লাল মিয়ার ছেলে শাহজালাল। ভাগ্য উন্নয়নের আশায় জমি বিক্রি ও দেনা করে পাড়ি জমান সৌদি আরব। কিন্তু বিধিবাম। ৮ মাস যেতে না যেতেই দেশে ফেরত আসেন শাহজালাল। লেবু চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করে ভাগ্য বদল করে এখন তিনি এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। শাহজালালের বীজহীন লেবুর বাগান দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন মানুষ। অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন বীজহীন লেবুর চাষ করতে। আত্মীয়স্বজনসহ বন্ধুবান্ধবের দেনা পরিশোধের চাপ আসতে থাকে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। শেষ সম্বল বিশ শতক জায়গায় লেবু চাষের সিদ্ধান্ত নেন। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই লেবু থেকে লাভ আসতে থাকে। ধীরে ধীরে আত্মীয়স্বজনের দেনা পরিশোধ করে এখন তিনি স্বাবলম্বী। শাহজালাল বলেন, ২০২০ সালে প্রবাসে গিয়ে সুবিধা করতে না পেরে দেশে এসে ২০ শতক জমি নিয়ে ওই জমিতে ২২০টি বীজহীন লেবুর কলমকৃত চারা রোপণ করি। চারা কেনা, এর পর রোপণ, জমি প্রস্তুত, জমি তৈরি, সেচ ও সারসহ বিবিধ খরচ মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকা। পরের বছরেই ওইসব লেবু গাছে লেবুর ফলন শুরু হয়। এর পরের বছর বেশ চাহিদা ও দাম পাওয়ায় প্রায় এক লাখ টাকার লেবু বিক্রি করি। ২০২২ সালে প্রায় ২ লাখ টাকার লেবু বিক্রি করেছি। শাহজালালের লেবু চাষের সফলতা দেখে অনেকেই লেবু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

হোসেনপুর উপজেলা উপসহকারী জাহিদ হাসান রনি বলেন, বীজহীন লেবু সারা বছর ফলন দেয়। এ লেবু অধিক ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ প্রচুর রস ও সুঘ্রাণযুক্ত। একবার এ লেবুর চারা রোপণ করলে একাধারে ১২ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত এ জাতের লেবু গাছে ফলন দেয়। তিনি আরো জানান, এ লেবু চাষে কেউ এগিয়ে এলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত