খাল খননে প্রাণ ফিরেছে ৩০০ বিঘা পতিত জমির

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইল সদর উপজেলার সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের দূত-পাতাল বিলে খাল খনন করার ফলে ৩০০ বিঘা পতিত জমির প্রাণ ফিরেছে। বর্তমানে এসব জমিতে ফসল উৎপাদনের স্বপ্ন বুনছেন ওই অঞ্চলের হাজারো কৃষক। দীর্ঘ দিনের জলাবদ্ধতার কারণে সঠিক সময়ে ফসল রোপণ করতে পারতেন না স্থানীয় কৃষকরা। যার ফলে দূত-পাতাল বিলে অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকত ৩০০ বিঘা জমি। পতিত এ জমিতে চাষাবাদ করে ভাগ্য ফেরাতে খাল খননের উদ্যোগ নেন স্থানীয় ইউপি সদস্য। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে যোগাড় করা টাকা দিয়ে খাল খননের কাজ শুরু করেন তিনি। এরই মধ্যে খাল খনন শেষ হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খাল খননের জন্য ওই বিলের জলাবদ্ধতার নিরসন হয়েছে। চাষাবাদের উপযোগী হয়ে উঠেছে পতিত ৩০০ বিঘা জমি। জমিগুলোতে তিন ফসল উৎপাদন সম্ভব বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

শোলপুর গ্রামের সুনাম মণ্ডল বলেন, মেম্বার শেখর বিশ্বাস আমাদের একত্রিত করে এই খাল খনন করেছেন। যার ফলে আমরা সবাই উপকৃত হয়েছি। খাল খননের জন্য অনাবাদি এ জমি ফসল উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠেছে। জমির মালিক কৃষক তবিবুর রহমান বলেন, জলাবদ্ধতায় আমরা এ জমিতে কোনো ফসল উৎপাদন করতে পারতাম না। ইউপি সদস্য শেখর বিশ্বাসের উদ্যোগে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে খাল খনন করেছি। এখন থেকে এ বিলে তিনটি ফসল উৎপাদন করা যাবে, যা জেলার কৃষিতে একটি বড় ভূমিকা রাখবে। এ বিষয়ে জানতে সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শেখর বিশ্বাস বলেন, এ মাঠে পাঁচ-সাতটি গ্রামের প্রায় হাজারো পরিবারের জমি আছে। জলাবদ্ধতার কারণে কেউ ফসল উৎপাদন করতে পারে না। জমিতে ফসল উৎপাদনের জন্য কেনেল-ভিত্তিক খাল খননের জন্য আমি তিন বছর ধরে সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলেছি। সবাই আমার সঙ্গে একমত হয়ে খাল খননের উদ্যোগ নেন। পরবর্তী সময়ে সবার সহযোগিতায় খাল খনন করা হয়েছে। ফলে এই দূত-পাতাল বিলের কৃষকেরা নতুন করে তিন ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছে।