ঢাকা ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত

পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত

বর্তমানের সরকারের কৃষিবান্ধব নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বিভিন্ন জেলার কৃষকরা। স্থানীয় কৃষি বিভাগ চলতি ২০২২-২৩ পাট উৎপাদন মৌসুমে জেলায় ৮ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জয়পুরহাট জেলায় পাঁচ উপজেলা মিলে এবার পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৪৯৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৩ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে রয়েছে তোষা জাতের পাট ৩ হাজার ৯৩ হেক্টর ও দেশি জাত রয়েছে ২৫ হেক্টর। এতে পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন। পাট বীজ বপনের সময় জমিতে পানির প্রয়োজন হয়ে থাকে সে কারণে এবার অত্যধিক খরা থাকায় বীজ বপনে বিলম্ব হয়। তাই পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ জানায়, সরকারের পাটজাত দ্রব্য ব্যবহার বাধ্যতামূলক করাসহ পাটের মূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানি হিসেবে পাট কাঠিকে ব্যবহার ও পাট চাষে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জেলার কৃষকরা পাট চাষে আগের থেকে বর্তমানে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ২০২১-২০২২ খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১৩ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে দেশি জাতের পাট রয়েছে ৩০ হেক্টর ও তোষা জাতের পাট রয়েছে ৩ হাজার ৮৫ হেক্টর। এতে পাটের উৎপাদন হয়েছিল ৩৮ হাজার বেল পাট।

গত বছর প্রতিমণ পাট বিক্রি হয় প্রকার ভেদে ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার ২০০ টাকা মণ পর্যন্ত। বাজারে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে পাটের চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। সে কারণে দিন দিন জেলায় পাটের চাষ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন জানান, চলতি ২০২২-২৩ খরিপ-১ ফসল উৎপাদন মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ৪৯৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত