ঢাকা ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এক নার্সারিতে ১২ হাজার জাতের অর্কিডের সমাহার

এক নার্সারিতে ১২ হাজার জাতের অর্কিডের সমাহার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে চাকরির পেছনে না ছুটে গড়ে তুলেছেন দুই বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল গাছের নার্সারি। এখানে গড়ে তুলেছেন বিশাল অর্কিড গাছের সমারোহ। এতে প্রায় ১২ হাজার জাতের অর্কিড রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পার কানসাটের বাসিন্দা নিয়ামত আলীর। দেশীয় পদ্ধতি ও উপকরণ ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে অর্কিডের চাষ করছেন তিনি। এসব গাছ জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায়। এতে লাভের টাকা গুনছেন তিনি। তবে কীটনাশকসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ উদ্যোক্তা। শিবগঞ্জ পৌরসভার দেয়ান জাইগীর এলাকার নার্সারি মোড়ে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দেবে নিয়ামতের ফুলবাগান। বাগানে রয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রকার ফুলের গাছ। কিন্তু তার ফুল বাগানের প্রধান আকর্ষণ বিদেশি ফুল অর্কিড। তার বাগানের অর্কিডগুলো থাইল্যান্ড, চীন ও নেদারল্যান্ড থেকে আমদানি করা। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি অর্কিডের চারা প্রস্তুত করে ঢাকায় বাজারজাত করেন। নারিকেলের খোসা, ইটের খোয়া, ঝামা কিংবা সুরকি দিয়ে অর্কিড ফুল চাষ করা সম্ভব। যার কারণে কাদা-মাটির প্রয়োজন হয় না। অর্কিড ফুলের বিভিন্ন রঙ, আকার আর রকমফেরের কারণে ফুলপ্রেমীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে নিয়ামতের ফুল বাগান।

নিয়ামত আলী বলেন, বাবা কসিম আলী দীর্ঘদিন ধরে নার্সারির সঙ্গে জড়িত। বাবার কাছে ফুল চাষাবাদের দীক্ষা পেয়ে এখানে গত দুই বছর ধরে ফুলের চাষাবাদ করছি। প্রথমে বাইরের দেশ থেকে ফুলগাছগুলো আমদানি করে আনলেও এখন নিজে চারা উৎপাদন ও বিক্রি করি। প্রথমে ২ হাজার অর্কিড ফুলের গাছ দিয়ে শুরু করি। বর্তমানে বাগানে ১২ হাজারের বেশি গাছ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ডেন্ডারিয়ামের ২০ রঙ, অন সোডিয়ামের ৪ রঙ, ভ্রমলিয়ার ৭ রঙ, গ্রিন লিপের ৫ রঙ, ক্যাটেলিয়ার ৭ জাত, লিপস্টিকের ৪ জাত, এয়ার প্লান্টের ৫ জাত, মিলিনিয়াম হার্টের ৪ জাত, ক্যামপারার ৭ জাতসহ হরেক নামের দামি অর্কিড ফুলের সংগ্রহ রয়েছে আমার কাছে। শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় শুধু নিয়ামত আলীই বহু জাতের অর্কিড বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত