ঢাকা ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১০ গ্রামের একটি সাঁকো!

১০ গ্রামের একটি সাঁকো!

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ও বাকই উত্তর ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো- ডাকাতিয়া নদীর ওপর থাকা একটি মাত্র বাঁশের সাঁকো। দেড় যুগ ধরে এই দুই ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে ভর করেই পার হচ্ছেন নদী। তাই বছরের পর বছর একটি সেতুর জন্য অপেক্ষায় নদীর পশ্চিমপাড়ের বাসিন্দারা। স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লার ডাকাতিয়া নদীর পূর্বপাড়ে (আলীশহর-শেরপুর) অবস্থিত একাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও হাটবাজার। সেতু না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। এছাড়া মালামাল আনা নেয়ার ক্ষেত্রেও বড় ধরনের সমস্যায় পড়েন ব্যবসায়ীরা। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতেও পোহাতে হয় দুর্ভোগ। তাই বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। পেরুল উত্তর ভাবকপাড়া গ্রামের কলেজ শিক্ষক শাহাজাদা সরকার বলেন, ‘ব্রিজ না থাকায় স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট করে নদী পাড় হতে হয়। বিশেষ করে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা ভয়ে বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। এখানে একাধিক স্কুল-কলেজ রয়েছে, সরকারের উচিত যতো দ্রুত সম্ভব একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়া। একই এলাকার কৃষক আমিন মিয়া বলেন, ‘বাবারে প্রতিদিন নদীর পাড় দিলে সবজি মাথায় নিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিতে সাঁকো পারাপার হতে হয়। নদীর পূর্বপাড়ে আলীশহর বাজারে সবজি নিতে গিয়ে অনেকবার সবজি পড়ে গেছে। কত নেতা আসলো আর গেল। আমগোরে কেউ একটা ব্রিজ করে দিলো না।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত