রৌমারীতে ৬ বছরেও শেষ হয়নি ৩ কি.মি. রাস্তা

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ছয় বছরেও শেষ হয়নি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৩ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের কাজ। ফলে রৌমারী ৩৫-বিজিবিসহ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চান্দারচর, নওদাপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, বোল্লাপাড়া ও খাটিয়ামারীর ৬ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জানা গেছে, এ নিয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে তাগিদ দিলেও কাজ হয়নি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুন বন্দর তুরা স্থলবন্দর থেকে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা দিয়ে খাটিয়ামারী কাদেরের বাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা মাটি ভরাট ও পাকাকরণের জন্য ২০১৭ সালে ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। রাস্তাটি মেরামত ও পাকাকরণের কাজটি টেন্ডারের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের মেসার্স ছাকিব ট্রেডার্স পায়।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক ওই রাস্তার কাজ করার জন্য জিঞ্জিরাম নদীর কিনারে প্রায় ১০০ গজ দৈর্ঘ্য গাইড ওয়াল নির্মাণ করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি ওই রাস্তার কাজ না করেই পালিয়ে যান। ২০১৯ সালে ওই রাস্তাটি মেরামতের জন্য মোক্তার হোসেন নামের অপর এক সাব ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনিও সামান্য মাটির কাজ শুরু করেই বরাদ্দকৃত বিল উত্তোলনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। বরাদ্দকৃত বিলের সম্পূর্ণ অংশ উত্তোলন বন্ধ করে দিলে তিনিও কাজটি না করে চলে যান।

পরের বছর ২০২০ সালে স্থানীয় সাইদুর রহমান নামের একজন ঠিকাদার মোক্তার হোসেন ঠিকাদারের কাছ থেকে সাব ঠিকাদার হিসেবে কাজ নিয়ে আবারও রাস্তা মেরামত শুরু করেন। প্রায় ৪ মাস আগে খাটিয়ামারী কাদেরের বাড়ি থেকে ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ শেষ করেন। কিন্তু চার মাস থেকে রাস্তার কাজ বন্ধ করে রেখেছেন। রাস্তাটির মেরামতের কাজ শেষ না করায় বাংলা বাজার ও মোল্লার চর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের টহল এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।