জয়পুরহাটে দেশি ষাঁড়ের ক্রেতা বেশি

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

হাটের পুরো এলাকা ছোট-বড় আর মাঝারি সাইজের গরুতে ভরপুর। এরই মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতা আর ব্যাপারীদের সমন্বয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে এলাকা। হাটে দেশি গরুর পাশাপাশি সাদা জাতের ইন্ডিয়ান বোল্ডার গরুও এসেছে। কোরবানির পশু বেচাকেনা উপলক্ষ্যে এমন হাট বসেছে জয়পুরহাট জেলা শহরের নতুনহাট এলাকায়। জেলার মধ্যে গরু বেচাকেনার দিক থেকে এই হাটের অবস্থান প্রথম। সপ্তাহে প্রতি শনিবার এখানে গরুর হাট বসে। তবে কোরবানি উপলক্ষ্যে বুধবার ও শনিবার দু’দিন হাট বসবে।

গত শনিবার দুপুরে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, গোহাটির পুরো মাঠ গরুতে ভরে গেছে। জায়গা কমের কারণে হাটের রাস্তায়ও বেঁধে রাখা হয়েছে গরু। হাটের উত্তর দিকে কোনায় সাদা জাতের ইন্ডিয়ান বোল্ডার গরু রাখা। গোহাটির পশ্চিম-দক্ষিণ পাশে রাস্তায় ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের গরু রয়েছে। হাটে আগত গরুর ক্রেতা-বিক্রেতারা ও ব্যাপারীরা জানান, এবার গরুর আমদানি বেশি হয়েছে। তবে তুলনামূলক ক্রেতা কম। মাঝারি ও বড় দেশি ষাঁড় কিনতে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন। ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজারের মধ্যে মাঝারি সাইজের গরুর ক্রেতা বেশি। হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে। টোল হিসেবে প্রতিটি গরু ক্রেতার কাছ থেকে ৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

নওগাঁর সাপাহার গোয়ালা এলাকার আব্দুস সালাম বলেন, মাঝারি সাইজের তিনটি ষাঁড় হাটে এনেছি। এরমধ্যে এক লাখ এক হাজার টাকায় একটি বিক্রি করেছি। অন্য দুটি ষাঁড় ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা করে চেয়েছি। ব্যাপারীরা ১ লাখ ৫ হাজার টাকা বলেছে। এই দামে বিক্রি করলে দুটি গরুতে আমার ১০ হাজার টাকা লোকসান হবে। হাটে প্রচুর গরু আমদানি হয়েছে। তবে সে তুলনায় বিক্রি কম হচ্ছে। শরীয়তপুর জেলার ব্যাপারী আসলাম হোসেন বলেন, আট জোড়া বড় সাইজের গরু কিনেছি। প্রতি জোড়া গরু আড়াই লাখ টাকার ওপর পড়েছে। ঢাকায় কোরবানি পশুর হাটে গরুগুলো বিক্রি করব। নওগাঁর ধামইরহাটের উব নারায়ণপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিন বলেন, ছোট সাইজের তিনটি বকনা গরু এনেছিলাম। তিনটা গরুই বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে একটি গরু ৮০ হাজার টাকা, অন্য দুটি ৬৫ হাজার টাকা করে বিক্রি হয়েছে। ইজারাদারের লোকজন তিনটি গরুতে আমার কাছ থেকে লিখনির জন্য দেড়শ টাকা নিয়েছে। গরুর ক্রেতার কাছে ১ হাজার ৮০০ টাকা নিয়েছে।

ইজারাদারের টোল আদায়কারী মৃদুল বলেন, আমরা প্রতিটি গরু ৬০০ টাকা আর লেখনি বাবদ বিক্রেতার কাছে ৫০ টাকা করে নিচ্ছি।