ফের ভাঙনের শিকার সরাইলের পানিশ্বর

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

মেঘনার করাল গ্রাসে প্রতিনিয়তই বিলীন হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বাজার, চাতালকলের বাড়িঘর। স্থানীয়রা জানান, পানিশ্বর বাজার সংলগ্ন চাতালকলসহ ৫-৬ বছরে বিলীন হয়েছে ২২টি চাতালকল, শতাধিক ঘরবাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পানিশ্বরের দক্ষিণের কালাসুতা হতে দেওবাড়িয়া পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার অংশে ৫টি গ্রামের বসতবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। কুমারপাড়া, লায়েরহাটি, এলাইবক্সের বাড়ি, সাহাইতি বাজার, দেওবাড়িয়া, নতুনহাটি গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে মেঘনা এখন আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। এই অবস্থায় প্রতিবছর ভাঙছে তীরবর্তী এলাকা। কখনো হঠাৎ করে ভাঙেনের শিকার হয়ে বিলীন হয়ে যায় ঘরবসতি।

স্থানীয়রা জানান, এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে এই জনপদ। সরেজমিন রোববার সকালে ভাঙনকবলিত মেঘনার পাড়ে গেলে লায়ের হাটি ওসমান চৌধুরীর বাড়িসংলগ্ন তীরবর্তী এলাকা নতুন করে ভাঙনের চিত্র চোখে পড়ে। সেখানকার বাসিন্দা শরীফ হোসেন, ওসমান চৌধুরী জানিয়েছেন, দুই-তিন দিন ধরে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাদু মিয়া বলেন, আগে মেঘনার এমন ভয়াবহ রূপ ছিল না। পাঁচণ্ডছয় বছর ধরে ভাঙনের শিকার হয়ে ঘরবাড়ি বিলীন হচ্ছে।

পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নদীর মাঝখানে চর জেগে উঠার কারণে পানির স্রোতের প্রবাহ পানিশ্বর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ফলে পানিশ্বর এলাকার এই ভয়াবহ ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, এই মূহূর্তে আমাদের কোনো বরাদ্দ নেই, তবু বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ বলেন, নতুন করে ভাঙনের বিষয়টি নিয়ে শিগগির পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করব।