১০ ফুট লম্বা পাগলা রাজার দাম ১৭ লাখ!

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে রেজাউল করিম। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতির খাবার খাইয়ে লালন পালন করেছেন একটি ষাঁড়। শখ করে নাম দিয়েছেন ‘পাগলা রাজা’। পাগলা রাজার গায়ের রং কিন্তু কুচকুচে কালো, উচ্চতা ৬ ফুট আর লম্বায় ১০ ফুট। ঈশ্বরদীতে এবারের কোরবানি ঈদের হাট কাঁপাবে সে। গরু খামারি রেজাউল করিমের দাবি, ষাঁড়টির ওজন হবে ৪০ মণ। সে কারণে তিনি ষাঁড়টির দাম হাঁকছেন ১৭ লাখ টাকা।

ইতোমধ্যে গরুটি দেখতে খামারি রেজাউল করিমের বাড়িতে ভিড় করছেন নানা বয়সি মানুষ। আর কিনতে দরদাম করছেন পাইকাররা। রেজাউল ২০১১ সালে তিনি গরুর খামার শুরু করেন। তিন বছর আগে ৩০ মণ ওজনের একটি বড় গরু তিনি পালন করেছিলেন। জানা যায়, শখের বসে প্রায় ৫ বছর আগে ঈশ্বরদীর অরনকোলা হাট থেকে ৫৭ হাজার ৮০০ টাকায় হলস্টেইন ফিজিয়ান জাতের একটি বাছুর কিনে লালন-পালন শুরু করেন তিনি। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রেখে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা ওই বাছুর এক বছর যেতে না যেতেই চোখে পড়ার মতো ষাঁড়ে পরিণত হয়। শান্তশিষ্ট দেখে শখ করে পাগলা পাগলা বলে ডাকতে থাকেন খামারি রেজাউলসহ বাড়ির সবাই। এক পর্যায়ে গরুটির নাম রাখেন ‘ঈশ্বরদীর পাগলা রাজা’। খামারি রেজাউল করিম জানান, ভুট্টা, জব, কাঁচা ঘাস, কালাইয়ের ভুসি, গমের ভুসি এবং ধানের খড় খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে ঈশ্বরদীর পাগলা রাজাকে। কোনো কেমিক্যাল বা মেডিসিন ব্যবহার করা হয়নি। খামারি রেজাউল করিমের দাবি, বর্তমানে ঈশ্বরদীর পাগলা রাজার ওজন ৪০ মণ। তিনি দাম হাঁকছেন ১৭ লাখ টাকা।

ইতোমধ্যে ব্যাপারী ও পাইকাররা আসছেন গরুটি কিনতে। উপযুক্ত দাম পেলে বিক্রি করার আশা খামারি রেজাউলের। এদিকে এত বিশাল ষাঁড় দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন নানা বয়সি মানুষ। নানা জনে দিচ্ছেন নানা মত। খোঁজ খবর নিচ্ছেন ব্যাপারীরাও। দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক বকুল সরদার জানান, রেজাউলের খামারে বিশাল ষাঁড় আছে শুনে দেখতে আসছেন তারা। এর আগে কখনও এত বড় গরু তারা দেখেননি।

তাদের ধারণা গরুটির ওজন হবে ৩২ থেকে ৩৫ মণ। ঈশ্বরদী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হোসেন জানান, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় অনেক খামারি কোরবানি ঈদ সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করেছেন। এবার খামারিরা বেশ লাভবান হবেন। খামারি রেজাউল করিমও তার বড় গরুটি লাভজনক দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।