ঢাকা ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গাইবান্ধায় নদীভাঙন বেড়েছে, বন্যার শঙ্কা

গাইবান্ধায় নদীভাঙন বেড়েছে, বন্যার শঙ্কা

গাইবান্ধায় বহমান তিস্তা-যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদীতে উজানের পানির ঢল ও ভারী বর্ষণে ধীরে ধীরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণে হঠাৎ পানির ঢেউ আর স্রোত বেড়ে যাওয়াতে বেশ কিছু স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বন্যার আশঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে নদী তীরে বসবাসকারী পরিবারগুলো। সম্প্রতি নদনদী ভাঙন দেখা যাওয়ায় গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নদী ঘেঁষে বাস করা মানুষেরা ভাঙন ও বন্যার শঙ্কায় ভুগছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় দেড় শতাধিক চর রয়েছে। এসব চরে প্রায় ৫ লাখ মানুষ বসবাস করছেন। প্রত্যেক বছরে বন্যা আর ভাঙনের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা তাদের। ভাঙনের কবলে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা তাদের ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি। এই আশঙ্কায় অনেকে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

গাইবান্ধা সদরের কুন্দেরপাড়া চরের আজগর আলী বলেন, গত ৪ বছরে নদীভাঙনের শিকার হয়ে বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছেড়ে ঠাঁই হয়েছে পাশের একটি চরে। অর্থাভাবে বসতি জায়গাটুকু উঁচু করতে না পারায় বন্যা ও ভাঙন ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে। সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বলেন, এ উপজেলার গুয়াবাড়ি, দিঘলকান্দি ও পাতিলবাড়ি এলাকায় গত ৫ বছরে প্রায় ৮ হাজার পরিবার বসতভিটা হারিয়ে বিভিন্ন চরে আশ্রয় নিয়েছেন। চরাঞ্চলের মানুষ যাতে বন্যা ও ভাঙনমুক্ত থাকতে পারে সেজন্য সরকার বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও ক্লাস্টার ভিলেজ নির্মাণ করেছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেলেও এখানো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে। সেই সঙ্গে নদীনদী ভাঙন ঠেকাতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান জানান, বন্যা মোকাবিলায় আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অবহিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত