৯৫ কেজি ওজনের ‘মিঠু’ নামে একটি খাসির দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা! বিদেশি জাতের খাসি পালন করে স্থানীয়দের চমকে দিয়েছে স্কুলছাত্র ওমর। গত ৩ বছর ধরে খাসিটি সে লালনপালন করছে। ছাগল উচ্চতায় বড় এবং দেখতে সুন্দর হওয়ায় তার খাসিটি এলাকায় সাড়া ফেলেছে। গত বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী পৌর পশু হাটে এই খাসিটিকে তোলা হলে একনজর দেখতে ভিড় করেছিলেন অনেক দর্শক। বিশেষ করে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নজরের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল খাসিটি। জেলার হাটে এটাই সবচেয়ে বড় খাসি। সরেজমিনে পশু হাটে গিয়ে দেখা যায়, খাসিটি দেখতে অনেকে ভিড় করেছেন। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে খাসিটির মালিক। সে হাতপাখা দিয়ে খাসিটিকে বাতাস করছে। হাটে আসা অনেক ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা খাসিটিকে এক নজর দেখতে ভিড় করছে। দর্শনার্থীরা এসে খাসিটির ছবি তুলছেন। অনেকে আবার এসে দাম জিজ্ঞাসা করছে। খাসিটির মালিক ওমর মিজানপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাগমারা এলাকার রফিক সরদারের ছেলে। ওমর বলে, ৩ বছর ধরে আমি খাসিটিকে লালনপালন করে বড় করেছি। মিঠু বলে ডাক দিলেই সে সাড়া দেয়। খাসিটিকে আমি ভাত, খড়, ভুষি ও ঘাস খাওয়াই। এটিকে বিক্রির জন্য আজ হাটে তুলেছি। আমার সঙ্গে চাচা ও চাচাতো ভাই এসেছেন। দাম চাচ্ছি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে ৮০ হাজার টাকা দাম হয়েছে। ১ লাখ টাকা হলে বিক্রি করে দেব।
হাটে আসা দর্শনার্থী শিমুল মোস্তফা বলেন, আমার কখনও এত বড় খাসি দেখিনি। আরেক দর্শনার্থী কাজল মোল্লা বলেন, বিশাল আকৃতির খাসিটি দেখতে ছোটখাটো একটি গরুর সমান। আমি খাসির একটা ছবি তুলেছি।
হাটে খাসি কিনতে আসা ক্রেতা মিরাজ শেখ বলেন, আমি কোরবানির জন্য একটি খাসি কিনতে হাটে এসেছি। হাটে বেশ কয়েকটি খাসি দেখলাম। তার মধ্যে মিঠু নামের খাসিটি সবচেয়ে বড়। হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি মো. জনি বলেন, রাজবাড়ী হাটে আজকে একটি বড় খাসি উঠেছে। খাসিটির ওজন ৯৫ কেজি হবে। বিক্রেতা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম চাচ্ছে।