খুলনায় কাঁচামরিচের বাজারে আগুন

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

কিছুদিন আগেই দফায় দফায় দাম বেড়েছিল পেঁয়াজের। এখনো দেশি পেঁয়াজ খুলনার বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম নিয়ে যত হইচই হয়েছে, তার চার ভাগের এক ভাগও হচ্ছে না কাঁচামরিচ নিয়ে। নীরবে এই পণ্যটির দাম বাড়তে বাড়তে কেজিপ্রতি ২৪০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। কাঁচামরিচের দাম আকাশ ছোঁয়া হলেও অন্য সবজির দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যেই রয়েছে। সেইসঙ্গে আদা, রসুন ও মসলার দামও কমছে বলে জানিয়েছেন খুলনার ব্যবসায়ীরা।

গত শনিবার খুলনার বড় বাজার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫-৩০ দিন ধরে একাধারে বেড়েই চলেছিল আদার দাম। ৪০০ টাকার নিচে মিলছিল না কোনো আদা। তবে সেই দাম এখন অনেকটা কমেছে। বর্তমানে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। এই বাজারের মশলা বিক্রেতা হালিম এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মো. হালিম জানান, বর্তমানে আদা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকার নিচে। তবে পাইকারি দামে আদা কিনে খুচরা বিক্রেতারা তো তাদের লাভ রেখেই বিক্রি করবেন। সে কারণে ২৮০ টাকায়ও অনেক জায়গায় আদা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের মসলা সামগ্রী বিক্রেতা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, বড় বাজারে আদার দাম কম থাকতে পারে। কিন্তু খুচরা বাজারে সেই দামে কখনোই আদা বিক্রি হবে না। আমরা বস্তাধরে আদা কিনে আনি। সেখান থেকে বাছাই করলে ৭-৮ কেজি খারাপ আদা পাওয়া যায়। সেই হিসাব করেই আমাদের বিক্রি করতে হয়।

এছাড়া কাঁকরোল ৫০, করলা ৮০, ঝিঙে ৫০, পটোল ৩০-৪০, পেঁপে ৪০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, টমেটো ৮০, কচু ৮০, বরবটি ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে। বাজারে সবজির দাম কমলেও মাছের দাম রয়েছে আগের মতোই। ৪৮০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে নানা সাইজের চিংড়ি। রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ও শিং ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কৈ ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, কার্প জাতীয় মাছ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন বলেন, পচনশীল পণ্যের বিষয়ে আমাদের তেমন কোনো কিছু করার থাকে না। তবে অন্য পণ্যের বিষয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। সে ক্ষেত্রে যথাযথ অভিযোগ থাকতে হবে।